মেয়েদের ইসলামিক নাম
ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্বমেয়েদের ইসলামিক নাম যারা জানেন না সাধারণত তাদের জন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক নাম রাখার আগে অবশ্যই ইসলামের নাম রাখতে হবে। তার আগে যে সকল ইসলামিক নাম রয়েছে তা জেনে নিতে হবে।
যখন আমাদের সন্তান জন্মগ্রহণ করে সাধারণত আমাদের প্রথম দায়িত্ব হলো সুন্দর একটি অর্থবোধক ইসলামিক নাম রাখা। যদি কোন নাম পছন্দ থাকে তাহলে সেই নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া। মেয়েদের ইসলামিক নাম জেনে রাখুন।
সূচিপত্রঃ মেয়েদের ইসলামিক অর্থবোধক নাম
- মেয়েদের ইসলামিক নাম
- জ দিয়ে মেয়েদের নাম
- উম্মে দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
- র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক অর্থবোধক নাম
- ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব
- ক দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম
- মেয়েদের সবচাইতে জনপ্রিয় আরবি নাম কি
- সূরা দিয়ে কি মেয়েদের নাম রাখা যায়
- মুসলিম মেয়েদের নাম কি রাখা যায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
মেয়েদের ইসলামিক নাম
মেয়েদের ইসলামিক নাম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক কাজে দেবে। আমরা যারা মুসলিম রয়েছি সাধারণত তারা সন্তানের নাম সব সময় ইসলামিক অনুযায়ী রাখতে চাই। সাধারণত যে নামের সুন্দর একটি অর্থ রয়েছে তাকেই ইসলামের নাম এবংঅর্থবোধক নাম বলা হয়ে থাকে। ইসলামে নির্দেশনা অনুযায়ী অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ইসলামিক নাম রাখার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্ব পরকালে অবশ্যই দেখতে পাবেন।
- খাদিজা
- সাওদা
- আয়েশা
- হাফসা
- জয়নাব
- উম্মে সালমা
- উম্মে হাবিবা
- সাইফা
- সুফিয়া
- ফাতিমা
- রোকেয়া
- উম্মে কুলসুম
- সারা
- হাজেরা
- মরিয়ম
- রুফাইদা
- আমেনা
- আসমা
- নাফিসা
- লায়লা
- ফাতিহা
- আতিকা
- হালিমা
উপরে যে নাম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণত এগুলো ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মহিলাদের নাম। ইসলামিক ইতিহাসের সাথে জড়িত মহিলাদের নাম অনুযায়ী সাধারণত আমরা আমাদের সন্তানের নাম রাখতে চাই। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদেরকে প্রতিটি কাজ করতে হবে এবং যে নাম রাখবো সাধারণত সেই নামের অর্থ কি হবে? এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
জ দিয়ে মেয়েদের নাম
জ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অনেকেই রাখতে চাই। বিশেষ করে যে সকল পিতা-মাতার নামের প্রথম অক্ষর শুরু হয়েছে জ দিয়ে সাধারণত তাদের মধ্যে এই আগ্রহটি বেশি দেখা যায়। কারন আমরা আমাদের পিতা-মাতার প্রথম অক্ষর অথবা অত্যন্ত প্রিয়জনের প্রথম অক্ষর দিয়ে সন্তানের নাম রাখতে চাই। যদি আপনি আপনার কন্যা সন্তানের নাম জ দিয়ে রাখতে চান তাহলে কোন নামগুলো পছন্দ করবেন? সাধারণত কয়েকটি নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
- জান্নাতুল -- বাগান
- জিন্নাতুন -- সফল ব্যক্তি
- জুই -- একটি ফুলের নাম
- জুহরাহ -- সৌন্দর্য
- জামিলা তাইয়্যেবা -- পবিত্র সুন্দরী
- জামেরা -- পাতলা
- জারিন তাসনিম -- সুবর্ণ ঝর্ণা
- জারিন -- স্বর্ণ
- জালিসা -- স্বজন/ আপনজন
- জুওয়াইরিয়া -- ছোট মেয়ে
- জুওয়াইরিয়া -- হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীর নাম
- জালিসাতুন সাদিকা -- চোখের পাতা
- জিরাত -- রেশমি কাপড়
- জুবাইদা -- আল্লাহ ভীরু
- জয়নাব -- সুগন্ধিযুক্ত ফুল
- জেসমিন -- ফুলের নাম
- জামিলা -- সুন্দরী
- জামিলা খাতুন -- সুন্দরী মহিলা
- জয়নব -- সুদর্শনী
- জুথি -- নাবালিকা
- জুনাইনা -- ছোট বাগান
- জাহান -- পৃথিবী
- জাহেরা -- প্রকাশ্য
- জারিয়াহ -- নৌকা
- জাকেরাতুন -- স্মরণকারীনি
- জয়া -- স্বাধীন
- জরিফা -- বুদ্ধিমতী
- জহিরুন্নিসা -- সাহায্যকারী নারী
- জহরা -- সাহায্যকারীনি
- জাইফা -- অতিথি
- জাকিয়া -- ঐতিহাসিক পবিত্র
- জালিয়া -- হরিণ
- জামিলা ওয়াহিদা -- তুলনাহীন সুন্দরী
- জামিমা -- ভাগ্য
- জাদিদাহ -- নতুন
উম্মে দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
উম্মে দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম এই মুহূর্তে উল্লেখ করা হবে। মুসলিম হিসেবে আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের নাম ইসলামিক রাখতে চাই। ইসলামিক নাম চেনার অন্যতম আরেকটি উপায় হল নামের শুরুতে উম্মে যুক্ত হওয়া। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর যুগে অনেক নারীদের নামের শুরুতে উম্মে যুক্ত করা হতো। আপনি যদি আপনার সন্তানের জন্য কোন নাম পছন্দ করে থাকেন এবং তার আগে উম্মে যুক্ত করতে চান করতে পারবেন কিনা এবং এই শব্দ নিয়ে কয়েকটি নাম জেনে নেওয়া যাক।
- উম্মে ফারযানা -- কৌশলী
- উম্মে সাদিয়া -- সৌভাগ্যবতী
- উম্মে হানি -- সুদর্শন
- উম্মে কুলসুম -- স্বাস্থ্যবতী
- উম্মে দারদা -- দন্তবিহীন
- উম্মে হাবীবা -- প্রেম পাত্রী
- উম্মে নাসরিন -- সাহায্যকারী
- উম্মে দারদা -- দন্তবিহীন
- উম্মে কুলসুম -- স্বাস্থ্যবতী
- উম্মে হাবিবা -- প্রেম পাত্রী
- উম্মে সালমা -- শান্তির মা
- উম্মে আয়মান -- শুভ
- উম্মে হানি -- সুদর্শনা
- উম্মে সানজিদা -- বিবেচক
- উম্মে আয়েশা -- সমৃদ্ধিশালী
- উম্মে আম্মারা -- একজন সাহাবীর নাম
- উম্মে আয়মান -- শুভ
- উম্মে আসমা -- অতুলনীয়
- উম্মে তুবা -- সুসংবাদ
- উম্মে নওশীন -- মিষ্টি মা
- উম্মে পাপিয়া -- সুকন্ঠি নারী
- উম্মে ফারজানা -- জ্ঞানী
- উম্মে সাজেদা -- ধার্মিক
- উম্মে শাফিয়া -- মধ্যস্থতাকারিনী
- উম্মে নাফিসা -- মূল্যবান
- উম্মে নাজিফা -- পবিত্র
- উম্মে নূসরাত -- সাহায্য
- উম্মে সালমা -- কমনীয়
- উম্মে আতিয়া -- দানশীল
- উম্মে হালিমা -- দয়ালু
- উম্মে নাদিরা -- বিরল
র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক অর্থবোধক নাম
র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক অর্থবোধক নাম এই মুহূর্তে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শুধু ইসলামিক নাম রাখলেই হবে না। কারণ আমরা অনেকে মনে করে থাকি যে আরব দেশে যে সকল নাম রাখা হয় সাধারণত সবগুলো ইসলামিক নাম আসলে বিষয়টি এরকম নয়। এই নামগুলোর মধ্যেও অনেক খারাপ অর্থ রয়েছে। তাই যে কোন নাম রাখার আগে অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামিক নাম রাখার পাশাপাশি সেই নামের ইসলামিক অর্থ জেনে নিতে হবে। যদি ইসলামিক অর্থ থাকে তাহলে সেটি ইসলামিক নাম।
- রুবা -- যে পাহাড় এর মতো উঁচু
- রুবি -- একজাতীয় মুক্তা
- রশীদা -- বিদূষী নারী
- রিফা -- উত্তম/ভালো মেয়ে
- রত্না -- মূল্যবান পাথর
- রেবা -- নদী
- রাবেয়া -- নিঃস্বার্থ নারী
- রিহা -- সুগন্ধী
- রোমিসা -- সৌন্দর্য, স্বর্গ
- রোহি -- জীবনকে বোঝানো হয়েছে
- রেবা -- খরস্রোতা নদী
- রওশন -- উজ্জ্বল
- রুকাইয়া -- উচ্চতর
- রাহেলা -- যাত্রী
- রহিমা -- দয়ালু
- রাইসা -- নিরাপদ
- রিদা -- আল্লাহর পছন্দ
- রোজি -- জীবিকা
- রুমি -- উদার
- রাফা -- সুখী মেয়ে
- রুহি -- মনকে স্পর্শ করে যে নারী
- রিহানা -- পবিত্র, শুদ্ধ নারী
- রাফিয়া -- উন্নত
- রামিছা যাহরা -- নিরাপদ ফুল
- রিন্তাহা -- একটি সুন্দর ফুল
- রামিসা ফারিহা -- খুব সুখী মহিলা
- রাদিয়া -- খুবই সন্তুষ্ট
- রুফায়দা -- যিনি মসজিদ থেকে আসা ব্যক্তির সেবা করে
- রামিসা তাহিয়া -- শুভেচ্ছা
- রাদিয়া -- সন্তুষ্ট
- রুকিয়া -- তন্ত্র-মন্ত্র, ঝাড়ফুঁক
- রাইসা -- রাণী
- রয়ীসা -- রাণী, সভানেত্রী
- রাফিদা -- সাহায্য কারিণী
- রামিছা আনজুম -- নিরাপদ তারা
- রোমানা -- ডালিম
- রিমা -- সাদা হরিণ
- রামিছা তাবাসসুম -- নিরাপদ হাসি
- রাজিয়া খাতুন -- প্রত্যাবর্তন কারিনী মহিলা
- রুবিনা -- যে মানুষের মুখশ্রী পড়তে পারে
ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব
ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে আপনি ইহকালে বুঝতে পারবেন না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদেরকে ইসলামিক নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কারণ এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে কিয়ামতের দিন। কেমন সময়ে আমরা পিতা-মাতা হিসেবে কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে চাই না। সন্তান জন্মগ্রহণ করার পরে পিতা-মাতার প্রধান দায়িত্ব হল সন্তানের একটি সুন্দর ইসলামের অর্থবোধক নাম রাখা।
কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে মুখে যেই নাম আসে সাধারণত সেটি রাখা হয়। নামের অর্থ কি? এই বিষয়ে তেমন কোন উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায় না। তবে একজন মুসলিমের কাজ হল একটি ইসলামিক নাম রাখা এবং তার একটি সুন্দর অর্থ খুঁজে বের করা। যদি কোন ইসলামিক অর্থ না থাকে তাহলে সেই নাম না রাখা অন্য একটি নাম খুঁজে তারপরে রাখতে হবে। ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব রয়েছে কারণ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকের নাম এবং পিতার নাম ধরে ডাক দেবেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদেরকে ইসলামিক নাম রাখতে হবে।
ক দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম
ক দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমরা অনেকেই আমাদের সন্তানের নাম ক দিয়ে রাখতে চাই। আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে দিতে চাই যে ক দিয়ে মেয়েদের অসংখ্য নাম রয়েছে। যেহেতু আমরা ইসলামিক নাম খুঁজছি সেহেতু যে সকল নামের ইসলামিক অর্থ রয়েছে এবং সুন্দর অর্থ রয়েছে সাধারণত সেই নামগুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করব। আপনি যেন আপনার কন্যা সন্তানের সুন্দর একটি নাম রাখতে পারেন।
- করিবা -- নিকটবর্তী, ঘনিষ্ঠ
- করিমন -- উদার মহিলা
- করিরা -- আনন্দিতা
- কলিন -- বিশুদ্ধ, চাবি রক্ষক
- কল্যা -- প্রিয়, রোজবাড, ফুলের কুঁড়ি।
- কল্লিমা -- প্রভাষক, প্রজাপতি।
- কাইজি -- সুন্দর, বিশুদ্ধ।
- কাইনা -- নেত্রী নারী, আল্লাহের তৈরি।
- কাইনাজ -- নেতা নারী, গর্বের সাথে আনন্দ করুন।
- কাইফ -- আনন্দের রাজ্য, সুখ।
- কাইফিয়া -- পরমানন্দ।
- কাইমা -- অমর।
- কাইয়া -- পবিত্র, স্থিতিশীলতা, মহাসাগর বা সমুদ্র।
- কাইয়ানা -- খোলা মুখের সৌন্দর্য।
- কাইল -- লরেল, মুকুট।
- কাইলিলা -- প্রিয়।
- কাইলিল্লাহ -- প্রিয়।
- কাউছার -- একটি নদী, স্বর্গে হ্রদ।
- কাওয়াবাত -- সন্ধ্যা তাঁরা।
- কাকুলি -- ক্রেস্ট।
- কাজমা -- উদার।
- কাজিম -- সুন্দর এবং বুদ্ধিমান।
- কাজিমা -- যিনি রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন।
- কাজীমাহ -- যে তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করে।
- কাজু -- কিউট।
- কাজেমা -- ক্রোধ সম্বরণকারিণী।
- কাটিমা -- শেষ।
- কাঠেরাহ -- প্রচুর
- কাতরুন -- মহত্ত্ব
- কাতিবাহ -- লেখক, যিনি লেখেন
মেয়েদের সবচাইতে জনপ্রিয় আরবি নাম কি
মেয়েদের সবচাইতে জনপ্রিয় আরবি নাম কি? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে মেয়েদের বেশ কিছু জনপ্রিয় নাম রয়েছে সাধারণত আমরা মনে করে থাকি যে এই নাম গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই নিজেদের কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এই নামগুলো রাখতে চাই। যে নামগুলো রাখা হয় সাধারণত এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সময়কার মেয়েদের নাম।
- খাদিজা -- অকাল-জন্মা
- আয়েশা -- সজীব, প্রাণবন্তা, জীবনধারিণী
- আরওয়া -- কোমল ও হালকা
- আতিকা -- সুগন্ধিনী
- রাকিকা -- কোমলবতী
- নাফিসা -- মূল্যবান
- রুফাইদা -- সামান্য দান
- রাবাব -- শুভ্র মেঘ
- আমেনা -- প্রশান্ত আত্মা, বিশ্বাসিনী, নিরাপদ
- আসমা -- সবচেয়ে উচ্চ
- আসিয়া -- সমবেদনাপ্রকাশকারিনী, স্তম্ভ
- হালিমা -- ধৈর্য্যশীলা
- উম্মে হাবিবা -- হাবীবার মা
- আনিসা -- ভাল মনের অধিকারিনী
- জামিলা -- সুন্দরী
- রাইহানা -- সুগন্ধি তরু
- সালমা -- নিরাপদ
- আলিয়া -- উচ্চমর্যাদা সম্পন্না, সুউচ্চ, উন্নতা
- সুরাইয়া -- বিশেষ একটি নক্ষত্র
সূরা দিয়ে কি মেয়েদের নাম রাখা যায়
সূরা দিয়ে কি মেয়েদের নাম রাখা যায়? সাধারণত এই ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আমরা জানি যে মুসলিম হিসেবে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ হল আল কোরআন। আর এই কোরআনে আল্লাহ তা'আলা অনেকগুলো সূরা উল্লেখ করেছেন। সাধারণত এই সূরা গুলোতে আল্লাহ তা'আলা আমাদের বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বেশ কিছু সূরা দিয়ে অনেকেই নিজেদের কন্যা এবং পুত্র সন্তানের নাম রেখে থাকে। আপনি যদি চান আপনার কন্যা সন্তানের নাম সুরা দিয়ে রাখতে তাহলে নিঃসন্দেহে রাখতে পারেন। বিশেষ করে একটি সূরা রয়েছে মুমতাহিনা। বর্তমানে অনেক মেয়েদের খোঁজে পাবেন যাদের এই নামটি রাখা হয়। যেহেতু এটি কুরআনের শব্দ তাই এই নামগুলো রাখা যায়।
মুসলিম মেয়েদের নাম কি রাখা যায়
মুসলিম মেয়েদের নাম কি রাখা যায়? সাধারণত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যখন আমাদের সন্তান জন্মগ্রহণ করে সাধারণত তখন আমরা সর্বপ্রথমে তাদের একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করি। সুন্দর নাম নির্বাচন করা আমাদের পিতা-মাতা হিসেবে প্রধান দায়িত্ব। কারন আপনি যদি একটি অর্থবোধক নাম রাখেন তাহলে এটি পরকালে গিয়ে হাশরের ময়দানে আপনার জন্যই কাজে দেবে। তাই একটি অর্থবোধক এবং ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব অপরিসীম।
আপনি মুসলিম মেয়েদের নাম কি রাখবেন সাধারণত এই বিষয়গুলো আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। তাছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং পছন্দ হওয়ার মত নাম উল্লেখ করেছি এবং সেই নামের সাথে অর্থসহ উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এর মধ্যে যদি কোন নাম পছন্দ হয় তাহলে অবশ্যই এর অর্থ জেনে তারপরে সন্তানের ক্ষেত্রে রাখার চেষ্টা করুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
মেয়েদের ইসলামিক নাম বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি আপনার কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে কোন নাম খুঁজে না পান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে করতে পারেন। কারণ এখানে আমরা বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করেছি যেগুলো ইসলামিক অর্থবোধক। আর মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই ইসলামের অর্থবোধক নাম রাখা জরুরী। তাই নাম রাখার আগে ভালোভাবে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিত ভাবে মেয়েদের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url