এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার

এমপক্স কি ছোঁয়াচে রোগএমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। বর্তমান সময়ে আতঙ্কের নাম হল এম পক্স ভাইরাস। ধীরে ধীরে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয় গুলো জানা উচিত।

এমপক্স-ভাইরাস-কি?-এর-লক্ষণ-ও-প্রতিকার

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে যে এই রোগ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার কিভাবে করতে হবে? এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা।

পেজ সূচিপত্রঃ এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার

এমপক্স ভাইরাস কি

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কারণ বর্তমান সময়ে এই ভাইরাসটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়ার অন্যতম দেশ পাকিস্তানের এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি যদি এখন সতর্কতা অবলম্বন না করেন তাহলে আপনার শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই নিজে বাঁচতে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে অবশ্যই এমপক্স ভাইরাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখুন। এই ধারণা গুলো আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে বাঁচতে সাহায্য করবে।

আমরা সবাই গুটি বসন্তের সাথে পরিচিত। এমপক্স ভাইরাস আক্রমণ করার ফলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় এগুলো অনেকটা গুটি বসন্তের মতো। তবে অনেকেই বলে থাকে যে গুটি বসন্তের চাইতে কম ক্ষতিকর। প্রথমে এই রোগ পশু থেকে পশুর ছড়িয়েছে। এরপরে পশু থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এখন মানুষ থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ধীরে ধীরে এ রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে এমপক্স রোগ ভাইরাস জনিত এক ধরনের জটিল রোগ।

এমপক্স ভাইরাস এর লক্ষণ

এমপক্স ভাইরাস এর লক্ষণ নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা করব। আমরা জানি যে প্রতিটি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যদি আপনি নিজে থেকে এই রোগ গুলো নির্ণয় করতে চান তাহলে আপনাকে এই লক্ষণ গুলো দেখে নির্ণয় করতে হবে। এমপক্স ভাইরাস যদি আপনার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে প্রাথমিক ভাবে। সাধারণত এই লক্ষণ গুলো কি তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

এমপক্স ভাইরাসে আক্রমণ করার ফলে প্রাথমিক ভাবে যে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর হওয়ার সাথে সাথে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। মুখের ভেতরও এই ফুসকুড়ি গুলো লক্ষ্য করা যায়। এরপরে ধীরে ধীরে হাতের তালু এবং পায়ের নিচে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হওয়ার পরে বেশ কয়েকদিন ভয়ংকর রূপে এগুলো ছড়িয়ে যায়।

শরীরে যখন এই ফুসকুড়ি গুলো ওঠে অত্যন্ত ব্যথা অনুভূত হয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই নিজে থেকেই ভালো হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে এ সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু এটা মানুষ থেকে মানুষের কাছে ছড়ায় তাই এটি হল ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে যেন অন্য কোন ব্যক্তির কাছে ছড়াতে না পারে এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

এমপক্স ভাইরাস এর প্রতিকার

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমান সময়ে আরো একটি মারাত্মক রোগের নাম হলো এমপক্স ভাইরাস। তাই আগে থেকেই এই রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে। যদি আমাদের শরীরে অথবা আমাদের পরিবারের কারো শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে আমরা যেন সহজেই এর মোকাবেলা করতে পারি। আপনাদের সুবিধার্থে এমপক্স ভাইরাসের প্রতিকার উল্লেখ করা হলো।

যেহেতু এটি মানুষের কাছ থেকে ছড়াই তাই এই রোগকে ছোয়াচে রোগ বলা যেতে পারে। আর আমরা জানি যে ছোঁয়াচে রোগ কিভাবে একজনের কাছ থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে এই রোগ প্রথমে বানরের শরীরে সনাক্ত করা হয়েছিল। সাধারণত তাই এই রোগের নাম দেওয়া হয়েছিল মাঙ্কি পক্স ভাইরাস। এরপরে সংক্ষেপে এটিকে এমপক্স ভাইরাস বলা হয়। তবে এখন পশু থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ইঁদুর বিড়াল স্কুল প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে পৌঁছে যায়।

এমপক্স ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

এমপক্স ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়? সাধারণত সতর্ক থাকার জন্য এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মারাত্মক রোগ করোনা কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে তবে এর প্রকোপ এখনো সারা বিশ্বে রয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস যেতেই নতুন আরেক ধরনের ভাইরাস পৃথিবীর মানুষকে আক্রমণ করার জন্য উৎপত্তি হয়েছে। সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি বানরের শরীরে সনাক্ত করা হয়েছিল তাই এটিকে মাংকি পক্স ভাইরাস বলা হয়ে থাকে। পশুর শরীর থেকে পশুর শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তো কিন্তু বর্তমান সময়ে পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে মানুষের শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।

এমপক্স-ভাইরাস-কিভাবে-ছড়ায়

যদিও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর শনাক্ত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের মাঙ্কি পক্স ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। যদি এমপক্স সংক্রমিত কোন ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক অথবা সরাসরি সংস্পর্শে আসলে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ওই ব্যক্তির কাছে এই ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে। সাধারণত এটি আমরা চোখে দেখতে পাই না বলে অনেকেই বুঝতে পারি না।

এই ভাইরাসটি আমাদের শরীরের ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র, চোখ, নাক এবং মুখের বিভিন্ন অংশ দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যদি কোন খাবারের মধ্যে এই ভাইরাস লেগে থাকে আমরা সেই খাবার না ধুয়ে খেয়ে ফেলি তাহলে মুখের সাহায্যে এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। তাছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত বিছানা পোশাক তোয়ালে স্পর্শ করলে এই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রাণী যেমন বানর ইঁদুর কাঠবিড়ালি সহ গৃহপালিত বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।

এমপক্স ভাইরাস কতদিন থাকে

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। যদিও এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি সাধারণত বাংলাদেশের কোন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এ বিষয়টি এখনো শোনা যায়নি। তবে বাংলাদেশের প্রবেশ করতে এই ভাইরাসের বেশি সময় লাগবে না। তাই অনেকে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের বিষয় জানতে চাই। অনেকেই জানতে চাই যে এম পক্স ভাইরাস আমাদের শরীরে আসলে কতদিন স্থায়ী থাকে? চলুন আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কিছু কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাস অনেকটাই মারাত্মক তবে ১০০ জনের মধ্যে তিন থেকে চারজন মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। তবে এই রোগের প্রকোপ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়টি আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আগে থেকেই। প্রাথমিক ভাবে এমবক্স ভাইরাস আমাদের শরীরে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয় তাহলে নিজে থেকে ভালো হয়ে যায়।

এমপক্স ভাইরাস কোন দেশে সনাক্ত হয়

এমপক্স ভাইরাস কোন দেশে সনাক্ত হয়? চলুন এই তথ্যমূলক বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সর্বপ্রথম এম পক্স অর্থাৎ মাংকি পক্স ভাইরাস আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সনাক্ত করা হয়েছিল। বর্তমান সময়ে আফ্রিকার দেশ গুলোতেই এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এমপক্স প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয়।

আফ্রিকার অঞ্চল গুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। তাছাড়া শত শত মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। উগান্ডা, কেনিয়া, বুরুন্ডি এবং রুয়ান্ডায় দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকার দেশ গুলো থেকে এশিয়ার দেশ গুলোতে ছড়িয়ে পড়তে বেশি দিন সময় লাগবে না। সাধারণত তাই এশিয়ার প্রতিটি দেশের সরকার তাদের সাধারণ জনগণকে সতর্ক করেছেন। বাংলাদেশের মানুষেরাও এই রোগের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হলে কি করতে হবে সে বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছে।

এমপক্স কি ছোঁয়াচে রোগ

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা করার সময় আমরা জানতে পেরেছি যে এম পক্স ভাইরাস হল ছোঁয়াচে এক ধরনের মারাত্মক রোগ। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে এই ভাইরাসটি বিভিন্ন প্রাণীর কাছ থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের কাছ থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে এই মারাত্মক ভাইরাস। কোন ব্যক্তি যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং আমরা যদি তাকে স্পর্শ করি অথবা তার ব্যবহার করা কোন জিনিস ব্যবহার করি অথবা স্পর্শ করি তাহলে সেই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে।

ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে? আশা করি আপনারা এ বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে জানেন। যে রোগ একজন ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে স্পর্শ করার মাধ্যমে সাধারণত সেই ধরনের রোগ গুলোকে ভাইরাস জনিত এবং ছোঁয়াচে রোগ বলা হয়ে থাকে। এম পক্স ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির কোন জিনিস স্পর্শ করলেই এই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। সাধারণত তাই এটিকে ছোঁয়াচে বলা হয়ে থাকে। আশা করি জানতে পেরেছেন যে এম পক্স ভাইরাস কোন ধরনের রোগ।

কাদের এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পাশাপাশি অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে এই ভাইরাসটি কোন বয়সের মানুষদের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত ভাইরাসজনিত যে সকল রোগ রয়েছে এই রোগগুলো কখনো মানুষের বয়স দেখে আক্রমণ করে না। যেকোনো বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস জনিত রোগ গুলো হতে দেখা যায়। তবে জাতিসংঘ কিছু কিছু বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটিকে মারাত্মক বলে ঘোষণা করেছে।

সকল বয়সের মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস সবথেকে বেশি ১৫ বছরের নিচে যে সকল কিশোর কিশোরী রয়েছে অথবা শিশুর রয়েছে সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ সবচাইতে বেশি মারাত্মক। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের ক্ষেত্রে তেমন একটা সমস্যা হওয়ার কথা না কিন্তু যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

এমপক্স ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

এমপক্স ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। যদি কোন ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই ভাইরাসের অ্যান্টিডোজ এখনো বের হয়েছে কিনা এই বিষয়টি এখনো তেমন ভাবে প্রকাশ করা হয়নি। যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং অন্য কেউ যেন এ রোগের আক্রান্ত না হয় সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

এমপক্স-ভাইরাস-থেকে-মুক্তির-উপায়

বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোন জিনিস অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ আমরা জানতে পেরেছি যে এই ভাইরাসটি হল ছোঁয়াচে রোগ। এতো অন্যকে এর স্পর্শ করার ফলে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে তাই অন্যকে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি উপরের এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে আপনাকে পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। প্রথম লক্ষ্য হবে অন্য কারো শরীরে যেন এই রোগ না প্রবেশ করে।

আমাদের শেষ কথা

এমপক্স ভাইরাস কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি এই রোগ সম্পর্কে জানতে হয় অথবা আপনি এ রোগ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই ধারণা রাখা উচিত। আমরা আপনাদের সুবিধার্থেই এই আর্টিকেলে এম পক্স ভাইরাস নিয়ে যত প্রশ্ন রয়েছে প্রায় সবগুলোই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে এম পক্স ভাইরাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url