মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়?
মাঙ্কিপক্স কি ভালো হয়মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের অনেকের তেমন কোন ধারণা নেই। তবে আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে মাঙ্কি পক্স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি করা একটি ভাইরাস।
বানরের শরীর থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে তাই এটি নামকরণ করা হয়েছে মাঙ্কি পক্স। পক্স রোগের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু মাঙ্কি পক্স সম্পর্কে একেবারেই অজানা। মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়?
- মাঙ্কিপক্স বলতে কি বুঝায়
- মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়?
- মাঙ্কি পক্স কোন ধরনের রোগ
- মাঙ্কিপক্স রোগের কারণ সমূহ
- মাঙ্কিপক্স রোগের লক্ষণ সমূহ
- মাঙ্কিপক্স কি ভালো হয়
- মাঙ্কিপক্স থেকে মুক্তির উপায়
- মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কোন দেশে শনাক্ত হয়েছে
- মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ
- আমাদের শেষ কথা
মাঙ্কিপক্স বলতে কি বুঝায়
মাঙ্কিপক্স বলতে কি বুঝায়? আমরা প্রথমে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেব। বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করে কিন্তু কোন ধরনের ক্ষতি হয় না কারণ এই ভাইরাস গুলো তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এমন কিছু ভাইরাস রয়েছে যেগুলো আক্রমণ করলে আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিছুদিন আগে এর প্রকোপ কমা করোনা ভাইরাস এর অন্যতম প্রধান উদাহরণ। বর্তমান বিশ্বে আরো একটি ভাইরাসের নাম শোনা যাচ্ছে সেটি হল মাঙ্কি পক্স ভাইরাস।
যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন অথবা নিয়মিত খবর দেখেন তারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন। তবে আমাদের মত অনেকেই এখনো এই ভাইরাস সম্পর্কে তেমনভাবে জানেনা। আপনাদের সুবিধার্থে বলে দিতে চাই যে মাঙ্কিপক্স হল এক ধরনের মারাত্মক ভাইরাস। সাধারণত এই ভাইরাস বানরের কাছ থেকে প্রথমে বিভিন্ন প্রাণীতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ধীরে ধীরে প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে এটি মানুষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়?
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নতুন যে সকল রোগের আবির্ভাব হচ্ছে সাধারণত এই রোগ গুলো কিভাবে ছড়ায়? আমাদেরকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। যদি এই বিষয় গুলো জানা থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই সর্তকতা অবলম্বন করতে পারব এবং নিজেকে এই মারাত্মক রোগ গুলো থেকে মুক্ত করতে পারব। প্রথমে এই রোগ বানরের শরীর থেকে ছড়িয়েছিল সাধারণত তাই এটিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে এই রোগ অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে প্রথম অবস্থায় এই রোগ প্রাণী থেকে প্রাণী শরীলে ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সরিয়ে পড়ে এবং এখন মানুষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এক অপরের সাথে চলাফেরা করা। সাধারণত কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে এটা আমরা খালি চোখে বুঝতে পারি না এবং প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করি স্পর্শ করি তাদের ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করি।
যদি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহার করা কোন জিনিস ব্যবহার করে যেমন জামা কাপড়, তার বিছানায় ঘুমানো, তার শরীরে স্পর্শ করা থেকে শুরু করে আরো যে সকল বিষয়ে রয়েছে এগুলোর মাধ্যমে আমাদের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে। তাছাড়া নাক, মুখ, কান এবং চোখ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে এ ধরনের ভাইরাস গুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে এটি বায়ুবাহিত রোগ কি না? এ বিষয়টি এখনো পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। যেহেতু স্পর্শ করার মাধ্যমে এক উপরে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাই বায়ুবাহিত রোগ নয়।
মাঙ্কি পক্স কোন ধরনের রোগ
মাঙ্কি পক্স কোন ধরনের রোগ? আশা করি আপনারা এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। মাঙ্কিপক্স হচ্ছে ভাইরাস জনিত রোগ। যে ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে সাধারণত কোন ব্যক্তি যদি এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয় তাহলে তার এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া অন্য ভাষায় মাঙ্কিপক্স এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ বলা যেতে পারে। আক্রান্ত রোগী যদি কাউকে স্পর্শ করে তাহলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সাধারণত এই কারণে এটিকে ছোঁয়াচে এবং ভাইরা জনিত রোগ বলা হয়ে থাকে। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে মাঙ্কিপক্স হলো এক ধরনের ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ।
মাঙ্কিপক্স রোগের কারণ সমূহ
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত ভাবে জেনেছি। মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে যে এই রোগ কোন কারণে হয়ে থাকে? প্রতিটি রোগের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আমাদেরকে সেই কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মাঙ্কিপক্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভাইরাস জনিত কারণ। এ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে এই রোগ প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে এখন মানুষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এটিকে ছোঁয়াচে রোগ বলা হয়ে থাকে। এই রোগ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে চলাফেরা করা অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা এবং তার ব্যবহার করা জিনিসপত্র গুলো ব্যবহার করা। যদি কোন সুস্থ ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে স্পর্শ করে অথবা তাদের ব্যবহার করা কোন জিনিস ব্যবহার করে তাহলে সেই ভাইরাস তাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই এই রোগ হওয়ার অন্যতম প্রধান এবং একমাত্র কারণ হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া।
মাঙ্কিপক্স রোগের লক্ষণ সমূহ
মাঙ্কিপক্স রোগের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আর আসলেই এই বিষয়টি জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই রোগটি নতুন তাই এই রোগ সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। আশা করছি আমরা সবাই গুটি বসন্তের সাথে পরিচিত। বিশেষ করে একসময় এই রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছিল এবং এই রোগ ছোঁয়াচে রোগের মত সবার কাছে ছড়িয়ে পড়েছিল। সাধারণত গুটি বসন্তের মতো দেখতে অনেকটাই মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে যে রোগ হয় এটি।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- জ্বর, মাথা ব্যথা
- শরীর ফুলে যাওয়া
- পিঠ এবং পেশিতে ব্যথা হওয়া
- জ্বরের সাথে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া
- এই ফুসকুড়ি গুলো গোল আস্তারে পরিণত হওয়া
- ১৫ বছরের শিশুদের মারাত্মক আকার ধারণ করা
মাঙ্কিপক্স কি ভালো হয়
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? সাধারণত এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনেছি। অনেকেই মনে করে থাকে যে যেহেতু এটি মারাত্মক রোগ তাই হয়তোবা এটি ভালো হয় না। অনেক ব্যক্তির ধারণা রয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে কেউ যদি একবার আক্রান্ত হয় তাহলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। আসলে বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। আপনারা সবাই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনেছেন। করোনা ভাইরাসের যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের মধ্যে কিন্তু সবাই মৃত্যুবরণ করেনি। সাধারণত এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে পশুর শরীর থেকে এটি আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন মানুষের শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা দিয়েছে যে আফ্রিকার দেশ গুলোতে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং হাজার হাজার মারা যাচ্ছে। যদি ১০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তিন থেকে চারজন মারা যায়। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে মৃত্যুবরণের সংখ্যা বেশি।
আপনারা যারা মনে করেন যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আর কখনোই সুস্থ হওয়া সম্ভব নয় তাদের জন্য জানিয়ে রাখি যে এই রোগটি সাময়িক সময়ের জন্য আসে। যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে তার দ্রুততার সাথে অর্থাৎ ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এই রোগ ভালো হয়ে যায় নিজে থেকেই। কোন ধরনের চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে যাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সাধারণত তাদের সময় লাগতে পারে।
মাঙ্কিপক্স থেকে মুক্তির উপায়
মাঙ্কিপক্স থেকে মুক্তির উপায় এই মুহূর্তে জেনে নেওয়া যাক। আমরা ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই ভাইরাসটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা মারাত্মক আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন। কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এখান থেকে মুক্তির উপায় কি রয়েছে আমাদেরকে প্রথমে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তির উপায় নিজে উল্লেখ করা হলো।
- মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রথম কাজ হলো নিজেকে সবার কাছ থেকে একা করে নেওয়া। কারণ এটি হলো ছোঁয়াচে রোগ।
- আক্রান্ত ব্যক্তির কোন জিনিস সুস্থ কোন ব্যক্তি যেন ব্যবহার না করে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজে থেকেই সতর্ক হতে হবে যেন এ রোগ আর অন্য কারো শরীরের না ছড়িয়ে পড়ে। না হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
- আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানায় শোয়া যাবেনা, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোন জিনিস ব্যবহার করা যাবে না, আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়া অর্ধেক কোন জিনিস খাওয়া যাবে না।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই ধরনের খাবার গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে হবে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কোন দেশে শনাক্ত হয়েছে
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কোন দেশে শনাক্ত হয়েছে? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক। আমরা ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সবাই অবগত হয়েছি। এই রোগ আমাদের শরীরের জন্য কতটা মারাত্মক তা খবরে ইতিমধ্যে জানানো হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে এই রোগ এখনো শনাক্ত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে কয়েকজন মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়বে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই নিজেদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে সর্বপ্রথম এই রোগ শনাক্ত করা হয়েছিল। সাধারণত এই দেশের গ্রাম গুলোতে এমপক্স অর্থাৎ মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সবচাইতে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলগুলোতে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং শত শত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই রোগে যারা আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণত তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে ১৫ বছরের কম শিশুরা। বেশ কিছু বৃদ্ধ মানুষ রয়েছে তবে সবচাইতে বেশি ক্ষতিকর হলো শিশুদের জন্য।
এছাড়া আফ্রিকার দেশ গুলোতে এই রোগের প্রকোপ আরব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশকে এই রোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়া আফ্রিকার দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়াতে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে এই রোগের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এই রোগ তেমনভাবে না ছড়ালেও কয়েকজন রোগীর শনাক্ত করা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ আপনারা এখনো জানেন না। যদি এর ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে চান তাহলে আপনাকে আফ্রিকার দেশগুলোর দিকে তাকাতে হবে। যদি কোন মহামারি দেখা দেয় তাহলে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আফ্রিকার দেশগুলো। কারণ এখানে একসাথে অনেক গুলো মানুষ বসবাস করে। তাই ছোঁয়াচে রোগ গুলো একজনের থেকে অন্য জনের কাছে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে আফ্রিকার দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
আমাদের শেষ কথা
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়? আশা করছি আপনারা ইতিমধ্যেই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা অনেকেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করি। যদিও এখনো এই রোগ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে নিয়ে অর্থাৎ বাংলাদেশে কোন রোগীর আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়নি। তবে সতর্ক থাকা অবশ্যই জরুরী তাই আমাদেরকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url