কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের ওষুধের নামকিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের শরীরে যেসকল গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি। যদি এই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে।
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা রাখা। আজকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- কিডনি রোগের কারণ কি
- কিডনি রোগের লক্ষণ
- কিডনি রোগ প্রতিকারের উপায়
- কিডনি রোগ কি ভালো হয়
- কিডনি রোগের চিকিৎসা কি
- কিডনি রোগ হলে আমাদের করণীয়
- কিডনি রোগের ওষুধের নাম
- কিডনি রোগের খাবার তালিকা
- কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে
- আমাদের শেষ কথা
কিডনি রোগের কারণ কি
কিডনি রোগের কারণ কি? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমরা কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রতিটি রোগের বেশ কিছু কারণ রয়েছে ঠিক একই রকম ভাবে যদি কিডনি রোগ হয় তাহলে কোন না কোন কারণেই হয়ে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে কিডনি রোগ কোন কারণে হচ্ছে এবং কিভাবে এর সমাধান করা যায়? আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি। তাই কিডনির যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আমাদের পুরো শরীর অকেজ হয়ে যাবে।
কি কারনে কিডনি রোগ হয়েছে সাধারণত বেশিরভাগ সময় এর কারণ জানা যায় না। বিভিন্ন গবেষণার কারণে কিডনি রোগের যে কারণগুলো নির্ণয় করা হয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। যে সকল রোগীদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিডনি রোগ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় নেফ্রাটাইসিস।
সাধারণত এই রোগের পরে পাথর হয়ে প্রস্রাবের নালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বংশগত বেশ কিছু কিডনি রোগ রয়েছে। যদি বংশের কারো ক্ষেত্রে এই রোগগুলো থেকে থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রেও এই রোগ গুলো হতে পারে। তাছাড়া কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওষুধ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ আমরা অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এর মধ্যে বেশ কিছু ওষুধ কিডনির উপরে প্রভাব ফেলে বিশেষ করে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে থাকে।
কিডনি রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নিন। কিডনি রোগ আমাদের শরীরের সবচাইতে অন্যতম রোগ হিসেবে চিহ্নিত এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে কিডনি রোগের প্রায় ৫০ শতাংশ অংশই নষ্ট হয়ে যায় এরপরে কিডনির রোগের লক্ষণ গুলো আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে। কিডনি রোগটি এমনই জটিল এবং নিস্তব্ধ যা সহজেই জানার কোনো উপায় নেই। এটি আস্তে আস্তে আপনার কিডনিকে অকেজো করে দেয় নষ্টের অর্ধ শতাংশ পরে আপনি জানতে পারেন আপনার কিডনি রোগ হয়েছে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিডনির সমস্যার হার বেশি এর সময় ডায়াবেটিস রোগীদের যেমন প্রসব কম বেশি হয়ে থাকে কিডনি রোগের লক্ষণও ঠিক সেই রকম।
- কিডনি রোগের সমস্ত শরীর ফুলে যায় বিশেষ করে প্রথমে তার মুখমণ্ডল।
- প্রসাবের সাথে রক্ত যায় এবং প্রসবের রং মাঝে মাঝে পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে।
- উচ্চ রক্তচাপ, সব সময় কোমরের দুই সাইড ব্যথা করা
- অনেক সময় তলপেটে ব্যথা করা, ক্ষুদামন্দা, বমি করা।
- খেতে ইচ্ছে না করা, রক্ত শূন্যতা।
- সব সময় কাজের অনিহা ও চুলকানি সমস্যা।
কিডনি রোগ প্রতিকারের উপায়
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আমারা যদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই কিডনি রোগ প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানতে হবে কিডনি একটি মারাত্মক রোগ এই রোগের প্রায় ৫০% কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার পরে কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। তখনই আমাদের দ্রুত কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায় গুলো খুঁজতে হবে এবং দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকে আমরা কিডনি রোগের প্রতিকারের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিব।
- কিডনি রোগী যদি জলদি চিকিৎসা নেই তাহলে ৯০-৯৫ ভাগ রোগী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি।
- কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৪০ বছর পার হওয়া ব্যক্তিদের। এ সময় প্রতি বছর একবার হলেও কিডনি রোগ পরীক্ষা করা উচিত।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথার ওষুধ এবং এন্টিবায়েটিক খাওয়া যাবে না।
- পাথর যাতে ব্লক করতে না পারে এজন্য চিকিৎসা নিতে হবে।
- নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। প্রোস্টেট ব্লক থাকলে সেটি দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
- প্রস্রাবের ইনফেকশন যখন রক্তে প্রসবের ইনফেকশন ছড়ালে এটি কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে তাই ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- ডায়রিয়া ও বমি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। কিডনি সমস্যা গুলো অল্প থাকতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
- নেফ্রাইটিস থাকলে চিকিৎসা করতে হবে।
কিডনি রোগ কি ভালো হয়
কিডনি রোগ কি ভাল হয়? চলুন এ বিষয়ে আজকে আমরা জানবো আমরা যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছি তারা অনেকেই ভয়ে রয়েছেন হয়তো আমার ভয়াবহ জটিল একটি রোগ হয়েছে যে কারণে আমি মারা যেতে পারি কিন্তু ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন সে বিষয়ে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা কিডনি রোগ হলে কি ভালো হয় সে বিষয়ে সঠিক ভাবে জানতে পারব। আমাদের শরীরে কিডনি রোগ হওয়ার প্রায় ৮০ টা কারণ রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিস। কিডনি রোগের প্রধান কারণ যদি ডায়াবেটিকস এবং এর সাথে বমি ভাব হয়ে থাকে তাহলে ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে।
স্যালাইন ও পটাশিয়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদি রোগীর রক্তচাপ কম থাকে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই চিকিৎসা করলে রোগী পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যাবে।কিডনি রোগী যদি জলদি চিকিৎসা নেই তাহলে ৯০-৯৫ ভাগ রোগী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। আপনার জটিলতা যদি বেশি হয়ে যায় এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে না বুঝতে পারেন তাহলে আপনার কিডনি রোগ কখনোই ভালো হবে না এবং আস্তে আস্তে আপনার কিডনি রোগ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কিডনি রোগের চিকিৎসা কি
কিডনি রোগের চিকিৎসা কি? এ বিষয়ে যারা জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমরা ইতিমধ্যেই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছি তাই বেশ কিছু বিষয় জানতে পেরেছি। বর্তমান সময়ে কিডনি রোগ সব রোগের অন্যতম। আমাদের দেশে ৫ ঘণ্টায় প্রায় একটি করে কিডনি রোগী মারা যায়। কিডনি রোগী মারা যাওয়ার কারণ হলো তাদের চিকিৎসায় বিলম্ব হওয়া এবং অসচেতনতা তাই আমাদের যদি কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো দেখা দিয়ে থাকে তাহলে দ্রুত কিডনি রোগের চিকিৎসা কি সে বিষয়ে জানতে হবে।
আমাদের দেশে কিডনি যত রবি রয়েছে তার চেয়ে এদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই কম। কিডনি রোগের খরচ অনেকটাই ব্যয়বহুল লোক তাই যারা গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছেন তাদের পক্ষে কিডনি চিকিৎসার খরচ চালানো মোটেই সম্ভব নয়। কিডনি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন প্রসব জ্বালাপোড়া করা, বারবার প্রসাব হওয়া প্রসাবে দুর্গন্ধ, কোমরে দুই পাশ ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যাগুলো দেখা দিয়ে থাকে এ সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হয় কিডনি রোগের চিকিৎসা নিতে মাস কিংবা বছরও লেগে যায়।
আমার চিকিৎসা নিয়েও এর ভালো সুফল পাওয়া যায় না আস্তে আস্তে এর কার্যকারিতা অনেকটাই কমতে থাকে। পরিস্থিতিতে যদি কিডনি রোগ সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেটি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত কিডনি রোগে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। আংশিক ভাবে রোগ হয়ে থাকে সেটিকে ডাক্তারি ভাষায় একিউট কিডনি ইনজুরি বলা হয়, এই কিডনি রোগটি হঠাৎ করেই উদয় হয়ে থাকে। দীর্ঘ স্থায়ী কিডনি ক্রনিক কিডনি ডিজিস বলে। আর এই কিডনি রোগটি ধীরে ধীরে কিডনিকে বিকলাঙ্গ করে তুলে তবে সঠিক ভাবে যদি এর চিকিৎসা না হয় তাহলে দ্রুতই আপনি কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কিডনি রোগ হলে আমাদের করণীয়
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। কিডনি রোগ হলে আমাদের করণীয় কি যারা কিডনি রোগী রয়েছেন এ বিষয়ে তাদের বিশেষভাবে জানা জরুরী কারণ আত্মা আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি কিডনি রোগ হলে তাদের সে বিষয়ে জানতে পারে তাহলে অবশ্যই তাদের কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বা কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাবে এজন্য কিডনি রোগ হলে আমাদের করণীয় বিশেষ সকল কিডনি রোগীদের জেনে থাকা উচিত।
- কিডনি রোগ হলে নিয়মিত কিডনি রুটিন চেকআপ করা উচিত।
- কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
- কিডনি রোগ অবস্থায় ডায়াবেটিকস এবং উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ রোগ গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- খাবারের লবণের পরিমাণ অনেক কম রাখুন। খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন
- তৈলাক্ত ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকুন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নেশা দ্রব্য অ্যালকোহল খাওয়া পরিত্যাগ করুন
কিডনি রোগের ওষুধের নাম
কিডনি রোগের ওষুধের নাম সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের মাঝে অনেক কিডনি রোগী আছেন যারা কিডনি রোগের জন্য বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকেন বা ওষুধের খোঁজ করে থাকেন। কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষ করে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে কারণ কিডনি রোগই ওষুধ খেয়ে অনেকটাই সুফল পেয়ে থাকেন।আজকে আপনাদের আমরা কিডনি রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানাবো। ক্রনিক কিডনি রোগের চিকিৎসার অনেক ডাক্তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাহলো প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং এর দ্বারা কিডনি রোগের সকল কারণ গুলো হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে নিবারণের চেষ্টা করা হয়। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি একটি আদর্শ উপায় এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় উপসর্গ সব সময় প্রথম ধাপে রয়েছে। কিডনি রোগের বিভিন্ন কারণ রয়েছে যে কারণ গুলো হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে সারানো হয়ে থাকে হোমিওর এক একটি ওষুধ কিডনি রোগের বিভিন্ন কারণ গুলোকে নিমেষে সমাধান করতে পারে।
বেলাডোনাঃ কিডনির বিভিন্ন অংশে প্রদাহ বা ব্যাথা কমানোর উপযুক্ত ও আদর্শ নিরাপদ হোমিওপ্যাথি ওষুধ এই বেলেডোনা।
কোনাভ্যালারিয়াঃ হৃদরোগের কারণে নেফ্রাইটিস সমস্যা হলে এক্ষেত্রে কোনাভ্যালারিয়া ব্যবহৃত হয়। যখন হৃদপিণ্ড অনিয়মিত ভাবে কাজ করে তখন এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিডনি রোগের দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি জন্য হোমিও পদ্ধতি খুবই কার্যকরী ভাবে কাজ করে থাকে।
কিডনি রোগের খাবার তালিকা
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানতে হলে কিডনি রোগের খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার থাকলে অবশ্যই আপনার কিডনি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে কারন কিডনি রোগ অনেকটাই আবার খাদ্য ভেজালের কারণে হয়ে থাকে। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গুলো রাখেন তাহলে অবশ্যই কিডনি রোগের জন্য অনেকটাই উপকারী হবে।
- কিডনি রোগী রয়েছে তারা প্রতিদিন যে কোন এক পদের ফলমূল যেমন পেয়ারা আপেল নাশপাতি, কলা, পাকা পেঁপে, আনারস, বেল খাবেন ১০০ গ্রাম করে।
- দিনের খাদ্য তালিকায় যেসব রাখবেন যেমন কলমি শাক ডাটা শাক, লাউ শাক, লাল শাক
- সবজির মধ্যে রয়েছে পটল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, লাউ, চাল কুমড়া।
- যেসব সবজি গুলো সিদ্ধ করে পানি ফেলে খেতে হবে যেমনঃ মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা পেঁপে, আলু কাঁচা কলা, করলা, মুলা, গাজর।
- যে সব সবজি খাওয়া বিরত থাকবেঃ মিষ্টি আলু,বরবটি, সজনে, ধনেপাতা, ঢেঁড়শ, কচু, পুঁই শাক, ধনে পাতা পালং শাক।
- যে সব ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেঃ কামরাঙ্গা, আমড়া, কাঁঠাল, আনার, লেবু, বড়োই, পাকা আম
- যেসব খাবার বাদ দিতে হবেঃ ডাল জাতীয় খাবার, শুকনা ফল, বাদাম, কাজু বাদাম, খেজুর খাবার গুলো কিডনি রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাশাপাশি নারকেল দিয়ে কোন খাবার অথবা ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
- কিডনি রোগীরা মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। দেশি মুরগি কিংবা দেশী মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে।
কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে
কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে? চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে সে বিষয়ে জানব ।অনেকেই কিডনি রোগে প্রান্ত রোগী রয়েছে যারা কিডনি রোগ হওয়ার আতঙ্কে মনে করেন হয়তো কিডনি রোগীরা বেশি দিন বাঁচে না কিন্তু এ বিষয়ে আজকে আপনাদের আমরা একটি সঠিক তথ্য দিব। তাহলে বুঝতে পারবেন কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে। আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন কার্যকারিতা পরিচালনা কর। কিডনি ও আমাদের দেহের প্রধান একটি অঙ্গ এর কার্যকারিতা হলো দেহের রক্ত পরিষ্কার রাখা।
প্রসাদের মাধ্যমে আমাদের দেহের ক্ষতিকর পদার্থ গুলো বের হতে সাহায্য করে এবং রক্তে নিয়ন্ত্রণ রাখে। রক্তের লোহিত কণিকা উৎপাদনের পাশাপাশি কিডনি শরীরের পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এখন আমাদের কিডনিগুলো সঠিকভাবে কার্য পরিচালনা করতে পারেনা তখনই আমাদের কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমতে থাকে। এটি যদি দীর্ঘ স্থায়ীভাবে চলতে থাকে তাহলে আমাদের শরীর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
আপনি যদি দ্রুত চিকিৎসা না নেন তাহলে আপনার জীবনে ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং আপনার প্রাণ ও হারাতে পারেন। একজন কিডনি রোগী যদি প্রাথমিক অবস্থায় এর সঠিক চিকিৎসা নেন তাহলে তার কিডনির সমস্যা দ্রুতই সমাধান হয়ে তিনি দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেকদিন বাঁচতে পারেন কিন্তু যদি কিডনি সমস্যা অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে অনেক সময় চিকিৎসারত অবস্থায় কিডনি রোগী মারা যেতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আপনি যদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন অথবা আপনার পরিবারে যদি কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে করে নেওয়া। সাধারণত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কিডনি রোগ থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url