ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। মশার কামড়ে সাধারণত ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে বর্তমান সময়ে ঢাকা সহজে সকল জনবসতি এলাকার রয়েছে এখানে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

ডেঙ্গু-রোগের-লক্ষণ-ও-প্রতিকার

আপনি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং এই রোগ থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে মুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা আমাদের এই আজকে প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে করতে থাকুন। ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ। বাংলাদেশের প্রতিবছর ডেঙ্গু রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ রোগটি মশার মাধ্যমে আমাদের দেহে ছড়িয়ে থাকে। এ রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই জেনে থাকা উচিত। লক্ষণ গুলো দেখা গেলেই আমরা দ্রুত ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হতে পারব। কিন্তু যখনই আপনি এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন না এবং আপনার চিকিৎসা করতে বিলম্ব হবে। তখনই আপনার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে তাই আমাদের আগে থেকে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে থাকা জরুরী।

  • শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি থাকতে পারে।
  • জ্বর আসা-যাওয়া করে। যখন জ্বর ছুটে তখন গা ঘেমে যাই আবার জ্বর আসে।
  • পাশাপাশি মাথা ব্যথা চোখের পেছনদিকে ব্যথা।
  • শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।
  • খাওয়াই অরুচি ও বমি, ক্ষুধা কমে যাওয়া
  • পেশির গাটে গাটে ব্যথা।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য, স্পন্দন ও রক্তচাপ কমে যাওয়া
  • শরীরে ঠান্ডা অনুভব করা

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যে কারণ গুলো সম্পর্কে আমরা সচেতন নই যার কারণে আমরা প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকি এবং এর মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। আক্রান্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে আজকে আমরা জেনে অবশ্যই ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন হব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়লে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হলো ডেঙ্গু মশার কামড় যে কোন মশা কামড়ালে কিন্তু আমাদের ডেঙ্গু রোগ হয় না।

পরিবেশের বিভিন্ন ভাইরাস হয়েছে সে ভাইরাসগুলো যদি মশার সংক্রমিত হয়ে থাকে তখন সেই মশা কামড়ালে আমাদের শরীরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। এবং এর ভাইরাস বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে স্ত্রী এডিস মশা। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস সাধারণত চার প্রকার হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের পরবর্তী রোগ হিসেবে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবং পরবর্তী রোগ দেখা দিলে প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝে এর রোগ ছড়াতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ডেঙ্গু রোগকে কখনোই আপনারা সাধারণ রোগ ভাববেন না কারণ এটি প্রাণঘাতী একটি রোগ অনেকেই ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুবরণ করে থাকেন প্রতিবছর এগুলোকে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত যেন আমরা ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে পারি এবং প্রতিবছর ডেঙ্গুর মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যার হাড় গুলো কমাতে পারি। তাহলে চলুন আমরা ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিশেষভাবে জেনে নিই।

  • আক্রান্ত হলে এ সময় আপনার শরীর থেকে জ্বর কমাতে হলে প্যারাসিটামল বা এ জাতীয় ওষুধগুলো খেতে পারবেন।
  • একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৪ টি প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করতে পারবেন। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী না হলে আপনার লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনার শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা নির্ণয় করে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পরপর ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • ডেঙ্গু জ্বর কমানোর জন্য কখনোই অ্যাসপিরিন ও ব্যথা নাশক এনএসএআইডি গ্রুপের ওষুধ কখনো সেবন করবেন না কারণ এটি ব্যবহারে ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে।
  • এ সময় গরম পানি দিয়ে আপনার শরীর মুছতে হবে অথবা গোসলও করতে পারেন।
  • ডেঙ্গু রোগীদের এ সময় অতিরিক্ত বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে কারণ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অনেক ক্লান্ত হয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত বিশ্রাম করলে হবে না কিছু সময় পর পর হাঁটাচলা করতে হবে।
  • রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে সেই রোগীকে ৭ থেকে ১০ দিন কোন ভারী কাজ বা ভারী পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  •  ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে বাইরে না গিয়ে বাড়িতে থাকাটাই সবচেয়ে ভালো। এ সময় রোগীর খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আয়রন ও প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো বিশেষ জরুরী। তরল জাতীয় খাবার যেমন স্যালাইন, ডাবের পানি, দুধ, ফলের রস খেতে হবে। সুস্থ হওয়ার পরও রোগীকে এ খাবার গুলো চালিয়ে যেতে হবে কারণ এ সময় শরীর যেন পানি শূন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শিশুর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত লক্ষণ

শিশুর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত লক্ষণ সম্পর্কে চলুন জেনে নিই। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সে। ডেঙ্গু রোগ হলে শিশুদের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির দিনগুলো হলে পরবর্তী ধাপে যখন ডেঙ্গু জ্বর হয় তখন মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হাড় শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে এবং এর জটিলতাও বেশি দেখা যায়। চলুন তাহলে শিশুদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

শিশুর-ডেঙ্গু-রোগে-আক্রান্ত-লক্ষণ

  • ভাইরাস প্রবেশের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের সকল উপসর্গ গুলো দেখা দিয়ে থাকে। অবস্থায় পাঁচ দিনের মাথাতেই হঠাৎ শরীরে তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে জ্বর আসে।
  • এই সময় সারা শরীরে র‌্যাশ, ফুসকুড়ি সহ লালচে দাগ দেখা দিয়ে থাকে।
  • বমি বমি ভাব ,শরীর প্রচন্ড ব্যথা
  • এই লক্ষণ গুলো দেখার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে হাড়ের জয়েন্টে ও মাংসপেশীতে প্রচুর ব্যথা শুরু হয়।
  • লক্ষণ গুলো অনেকটাই গুরুতর হয়ে ওঠে। হলো, পেটের ব্যথা, অনবরত বমি, শরীরে পানি জমা, নাক, মাড়ি থেকে রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্বলতা, অস্থিরতা, লিভার স্ফীতি ২ সেন্টিমিটারের বেশি হয়ে থাকে।
  • ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি পাঁচ থেকে সাত দিনে মারাত্মক কিছু লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। যেমন শরীরে পানি জমা,ডেঙ্গু শক সিনড্রোম,  নাড়ি দুর্বল হওয়া, শীতল শরীর নিম্ন রক্তচাপের সৃষ্টি, অতিরিক্ত রক্তপাত, হার্টের প্রবলেমসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের উপায়

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে নিন। আমাদের ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আগে থেকে জানলে আমরা ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে পারব। ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক জটিল ভাইরাস রোগ এদিকে কেউ স্বাভাবিকভাবে নিবেন না কারণ প্রতিবছর ডেঙ্গুজরে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। তাই আমাদের ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের উপায় সতর্কতার জন্য জেনে নেব।

  • ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই আমাদের বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • আমাদের বাড়ির আশেপাশে ভাঙা টায়ার প্লাস্টিক সহ ফুলে টপ পরিষ্কার রাখুন কারণ এই জায়গাগুলোতে পানি জমে এডিস মশার বংশবিস্তার হয়ে থাকে। এই জায়গাগুলো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • এডিস মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন বার স্প্রে বা ফগিং মশা নিধন করতে হবে।
  • এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচতে শোয়ার সময় বাসায় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • বাড়ি থেকে বের হলে অবশ্যই মশা নিধনের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • বাসা থেকে বাঁচতে মশারির পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
  • এডিস মশা সবসময় দিনের বেলায় কামড়িয়ে থাকে তাই এই সময় সজাগ থাকতে হবে । দিনের বেলায় সবসময় মশারি ব্যবহার এবং শরীরে মশা নিধনের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • বাড়ির আশেপাশে যদি বৃষ্টির পানি জমে থাকে তাহলে দ্রুতই তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন কারণ এই পানিগুলোতে এডিস মশা ডিম করে থাকে এবং বংশ বিস্তার করে থাকে।

ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় চলুন এ বিষয়ে জেনে নেই।আমাদের অসচেতনার জন্য আমাদের ডেঙ্গু রোগের সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। আমরা যদি ডেঙ্গু মশা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকি তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানো থেকে রক্ষা পেতে পারি কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না এই ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় চলুন তাহলে আজকে আমরা ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর আসল কারণ জেনে নেই। একটি মশা বাহিত রোগ এ রোগে আক্রান্ত সংখ্যা প্রতি বছর অনেক হয়ে থাকে।

লেডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জনিত গ্রীষ্মকালীন রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। ডেঙ্গু কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়, একই সাথে খেলে বা একই বিছানায় ঘুমালে কখনো ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় না। রোগ ছড়ানো আসল কারণ হলো একজন ডেঙ্গু রোগীকে যদি কোন মশা কামড়ায় এবং ওই মশা যদি আবার একদিন সুস্থ মানুষকে কামড়ায় তার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। রোগের সম্ভাবনা শীতকালে অনেকটাই কম থাকে এবং বর্ষাকালে ডেঙ্গু জ্বরের সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে।

ডেঙ্গু হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পাশাপাশি ডেঙ্গু হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। কারণ চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি খাবার আমাদেরকে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির বিশেষ করে খাবার দিকে অনেক যত্ন নেওয়া উচিত এ সময় শরীর অনেকটাই দুর্বল থাকে এ দুর্বলতা কাটাতে ডেঙ্গু হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এ বিষয়ে জানতে হবে।

হলে আমাদের সাধারণত নরমাল খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এবং সে খাবার গুলো যেন আয়রন এবং প্রোটিন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বিশেষ করে তরল জাতীয় খাবার গুলো যেমন ডাবের পানি জুস ফলের রস স্যালাইন এবং স্যুপ জাতীয় খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।তরল খাবার প্রচুর পরিমাণে দেয়া যেতে পারে। এগুলো শরীরের পানির পূরণ করবে এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখবে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার গুলো নরম হতে হবে যেন সহজেই হজম হয় যেমন খিচুড়ি ভাত, দই পোরিজ, সেদ্ধ আলু, কুমড়ো,সেদ্ধ শাকসবজি যেমন পেঁপে, সবুজ মটর ইত্যাদি খাবারগুলো খাওয়াতে পারেন। সুস্থ হলেও রোগীর খাবারগুলো স্বাভাবিকভাবেই চালিয়ে যেতে হবে খাবার যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে কারণ এই সময়ে রবি শরীর অনেক দুর্বল থাকে প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি লেবুর রস খেতে দিতে হবে।

ডেঙ্গু হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে

ডেঙ্গু হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে? যারা খেজুর খেতে পছন্দ করেন এবং যাদের ডায়েটে প্রতিদিন খেজুর থাকে তারা অনেকেই ডেঙ্গু হলে খেজুর খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান চলুন তাহলে আপনারা ডেঙ্গু হলে খেজুর খেতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে জেনে নিন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এ সময় ভারী খাবার খেতে দেওয়া ঠিক নয়। এর সময় হালকা পুষ্টিকর খাবার গুলো খাদ্য তালিকা রাখতে পারে যেমন খেজুর, বাদাম, তরমুজ, কলা, ছোলা জাতীয় আয়রন অপুষ্টির পর যুক্ত গুলো রাখতে পারে কারণ এই পুষ্টিকর খাবার গুলো আমাদের দেহের শক্তি সরবরাহ করতে কাজ করে থাকে এ সময় রোগীকে পুষ্টিকর খাদ্য খাইয়ে সচল রাখতে হবে এ সময় রোগী এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহকে সুস্থ করতে চাইলে খেজুর অবশ্যই খেতে পারবে।

ডেঙ্গু হলে আমাদের করণীয়

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিস্তারিত ভাবে জেনেছি এখন ডেঙ্গু হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ ডেঙ্গু মারাত্মক একটি রোগ এবং মশা বাহিত ভাইরাস এটি গ্রীষ্মকালীন বা বর্ষাকালে একটি ভাইরাস রোগ। এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে যা সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা জরুরী। ডেঙ্গু জ্বরে তিনটি ধরন রয়েছে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা স্বাভাবিক থাকে।

ডেঙ্গু-হলে-আমাদের-করণীয়

তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিশ্রাম ও যত্ন নিলেই ডেঙ্গু রোগ প্রথম অবস্থায় সেরে যায়। "বি" ক্যাটাগরি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়া যায় কিন্তু এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন পেট ব্যথা মাথা ব্যথা বমি বমি ভাব। এর পাশাপাশি যাদের লিভারের সমস্যা, অন্তঃসত্তা ও ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন এ পর্যায়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ভালো।

"সি" ক্যাটাগরি ডেঙ্গু জ্বর অনেকটাই সিরিয়াস হয়ে থাকে এ সময় বাড়িতে রোগীর অত্যাধিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন চারটি করে প্যারাসিটামল এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারে। ডেঙ্গু রোগ যদি কিডনির সমস্যা লিভার সমস্যা ও ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। ডেঙ্গু জ্বর হলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে চার থেকে আটটি প্যারাসিটামল সেবন করতে পারবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেকেই প্লাটিলেট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। যা মোটেও ঠিক নয়।প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নিচে যদি নামে বা শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্তপাত হয় সেক্ষেত্রে প্লাটিলেট বা ভালো রক্ত দেওয়া চিন্তা নেওয়া যায়। এসব পরিস্থিতি রোগীদের ক্ষেত্রে কমই দেখা যায়। জ্বরের শেষ অবস্থায় রক্তচাপ কমে গেলে অথবা মাড়ি, নাক, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত সম্ভাবনা রয়েছে। রোগীর এমন পরিস্থিতি দেখালে দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতলে ভর্তি হতে হব।

আমাদের শেষ কথা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের জন্য ডেঙ্গু রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। বাংলাদেশের অন্যান্য শহরের চাইতে ঢাকা শহরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি ঢাকা শহরে বসবাস করে থাকেন এবং এই রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকার পড়তে হবে এবং জেনে নিতে হবে।

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url