নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ
নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আমাদের সমাজের নারীরা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে আমরা সে সম্পর্কে কোন ধারণা রাখি না। তাই নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেব। আজকের এই আর্টিকেলে নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ উল্লেখ করা হলো।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ
- ভূমিকা
- যে সকল নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়
- নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ
- নারীর উপর নির্যাতনের পরিণতি
- নারী নির্যাতন মামলা
- উপসংহার
নারী নির্যাতনের ১০টি কারণঃ ভূমিকা
আমাদের সমাজের নারীরা সব থেকে বেশি নির্যাতিত হয়। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের নারীরা বেশিরভাগ নির্যাতিত হয়ে থাকে। বর্তমানে নারী নির্যাতনের কঠিন আইন করা হয়েছে। তারপরেও অনেক পুরুষ রয়েছে যারা নারীদের ওপর অত্যাচার এবং নির্যাতন করে থাকে। আজকে আমরা নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে কোটি টাকা আয় করার উপায়
এছাড়া যে সকল নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়? তাদের সম্পর্কে জানব। নারীর উপর নির্যাতনের পরিণতি এবং নারী নির্যাতন মামলা সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি একজন নারীর জন্য উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
যে সকল নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়
আমাদের সমাজের বেশ কিছু নারী রয়েছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে নির্যাতন হয়ে থাকে। তাদের ওপর পুরো সমাজ বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করে থাকে। আপনার জেনে রাখা উচিত কোন নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়? আমাদের সমাজে যে সকল নারীরা সব থেকে বেশি নির্যাতিত হয়ে থাকে তাদের কথা নিচে আলোচনা করা হলো।
১। যে সকল মহিলারা অতিরিক্ত পরিমাণে দরিদ্র থাকে।
২। যে সকল মহিলাদের পিতা-মাতা থাকে না অথবা তাদের মধ্যে একজন আছে।
৩। যে পরিবার মহিলা দ্বারা পরিচালিত বা যে পরিবারের কর্তা ব্যক্তি অর্থাৎ পিতা নেই।
৪। অতিরিক্ত নেশার সাথে জড়িত এরকম ব্যক্তির স্ত্রীরা বেশি নির্যাতিত হয়।
৫। যে মহিলার কোনো সঙ্গী নেই সে সকল মহিলারা সমাজে বেশি নির্যাতিত হয়ে থাকে।
৬। বৃদ্ধ মহিলা অথবা যে সকল মহিলারা অসুখে ভুগে থাকে। তাদের ওপর বেশি নির্যাতন করা হয়।
৭। যৌনকর্মীগণ দের ওপর অতিরিক্ত পরিমাণে নির্যাতন করা হয়।
৮। যে সকল মহিলারা প্রতিবন্ধী অথবা তাদের কোন প্রতিবন্ধী সন্ধান রয়েছে।
৯। যে সকল মহিলা সহকারী মহিলা আশ্রম বা আশ্রয় শিবিরে থাকে।
১০। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা হানাহানির পর পরিবার আত্মীয়-স্বজন সকলকে হারানো মহিলা গন।
১১। মারাত্মক রোগে আক্রান্ত মহিলা গন সমাজে মানুষ দ্বারা নির্যাতিত হয়ে থাকে।
নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ
নারীরা আমাদের সমাজের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক হলেও পুরুষ শাসিত এ সমাজে নারীরা বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। বর্তমানে নারী নির্যাতনের কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষেরা মহিলাদের বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করে থাকে। আমাদের এই আর্টিকেলে নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ সম্পর্কে জানানো হবে।
১। নারী নির্যাতনের মূল কারণ হচ্ছে পুরুষের তুলনায় নারী বা মহিলাদের সামাজিক মর্যাদা বেশি। সাধারণত তাই অনেক পুরুষ আছে এগুলো সহ্য করতে পারে না তাই নারীদের উপর বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করে।
২। শিক্ষার অভাব, দাড়িদ্রতা, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা এবং বিভিন্ন রকমের কুসংস্কার নারী নির্যাতনের অন্যতম একটি প্রধান কারণ। নারীদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের কুসংস্কার এর কারণে নারীরা সমাজে নির্যাতিত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ২০ টি উপায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশে
৩। কোন নারীর যদি নেশাগ্রস্ত স্বামী থাকে তাহলে সেই নারী অতিরিক্ত পরিমাণে নির্যাতনের শিকার হয়। অনেক স্বামী আছে নেশার টাকার জন্য নারীর উপর নির্যাতন করে। পুরুষরা সমাজে নারীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের উপর বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করে থাকে।
৪। বর্তমান সমাজে যদিও যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতন এখন কমে গিয়েছে কিন্তু অনেক জায়গাতে যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতন বিষয়টি দেখা যায়। যৌতুক প্রথা উপমহাদেশের শুরু থেকে চলে আসছে। যৌতুকের দাবিতে পুরুষরা নারীদের উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে থাকে।
৫। যে সকল নারীরা বাইরে গিয়ে নিজে ইনকাম করে সাধারণত সেই সকল নারীরা সমাজের কাছ থেকে নির্যাতিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকমের খারাপ কথা তাদের শুনতে হয়। এছাড়া আমাদের সমাজে অপসংস্কৃতির কোন প্রবেশ হচ্ছে নারীদের নির্যাতনের অন্যতম একটি প্রধান কারণ।
৬। সমাজের বিভিন্ন রকম কুসংস্কার এর কারণে নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকে। যদিও এই বিষয়টি এখন কম দেখা যায় তবে পুরাতন যুগের বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে নারীরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন এর শিকার হতো।
৭। অর্থনৈতিক অভাব বর্তমানে নারী নির্যাতনের অন্যতম একটি কারণ। বলা হয়ে থাকে অভাবের জন্য ঘরের সুখ জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। যখন অভাব দেখা যায় তখন পুরো শাসিত সমাজে নারীরা মূলত সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়।
৮। বাংলাদেশের নারী নির্যাতনের অন্যতম একটি কারণ হলো বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহ। বাল্যবিবাহের দাম্পত্য জীবনে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায় যার ফলে নারীরা এগুলো বুঝে উঠতে পারে না সেই কারণে পুরুষ শাসিত সমাজে বিভিন্ন রকম মানুষের কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হয়।
৯। আমাদের দেশের আইনি দুর্বলতা হচ্ছে নারীদের নির্যাতনের অন্যতম একটি প্রধান কারণ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আইনের শাসন ব্যবস্থায় এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে অপরাধী রাজ্যে কোন অপরাধ করার পর পার পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
১০। বাংলাদেশের পুত্র সন্তান লাভের ক্ষেত্রে নারী নির্যাতনের কারণ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। কোন নারী যদি পুত্র সন্তান লাভের ব্যর্থ হয় তাহলে তার ওপর বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বামীরা এবং স্বামীর পরিবারের মানুষেরা মনে করে পুত্র সন্তান হচ্ছে বংশের জন্য গৌরব সাধারণত তাই কোন নারীর যদি কন্যা সন্তান হতে থাকে তাহলে সে বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়।
নারীর উপর নির্যাতনের পরিণতি
নারী নির্যাতনের পরিনিতি ভয়াবহ হতে পারে। নারী নির্যাতনের ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ে। অনেক সময় নারীর উপর নির্যাতনের পরিণতি অনেক ভয়াবহ হতে পারে। যা নারীর স্বাস্থ্যের ওপর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। কাঠা ছেঁড়া থেকে শারীরিক বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। অনেকে নির্যাতনের কারণে হার ফেটে যাওয়া ভেঙে যাওয়া এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
নারী নির্যাতনের ফলে মনস্তাত্ত্বিক এবং হৃদ বেগের উপর যে আঘাত পড়ে তা শারীরিক আঘাত থেকে অনেক গুরুতর। এসব ঘটনা নারীর অসম্মান, মর্যাদা হানিকর হওয়ার পণ্য মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় নারীদের উপর যদি নির্যাতন করা হয় তাহলে গর্ভপাত সন্তান গর্ভে মৃত্যু এরকম সমস্যা দেখা যায়। সন্তানের সামনে যদি মায়ের উপর নির্যাতন করা হয় তাহলে সন্তানের উপর এটি বিরূপ প্রভাব ফেলে।
নারী নির্যাতন মামলা
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়ে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় পেমেন্ট বিকাশে মাসে ১৫০০০
উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৭ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তার জন্য অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন। কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করিতে পারবে।
নারী নির্যাতনের ১০টি কারণঃ উপসংহার
নারী নির্যাতনের ১০টি কারণ, নারী নির্যাতন মামলা, নারীর উপর নির্যাতনের পরিণতি, যে সকল নারীরা বেশি নির্যাতিত হয় তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থ কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের পেজ ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ। ২০৮৭৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url