অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনারা অনেকে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয়ে জানতে চান। আপনারা আজকের এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি অতিরিক্ত ঘুম ও ভালো না। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

ভূমিকা

ঘুম হলে আল্লাহ তায়ালার দেওয়া একটি নেয়ামত। ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীর ও মন সুস্থ ও সুন্দর থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমায়। সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। ঘুম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরকে নষ্ট করে দেয়। তাই আমাদের নিয়মমাফিক ঘুম পারতে হবে। দেখতে হবে যাতে ঘুম বেশিও না হয় আবার কমও না হয়।

আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু ঘুম প্রয়োজন আর কতটুকু প্রয়োজন না তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ঘুম কখনোই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নয় ঘন্টার বেশি ঘুমালে তা অতিরিক্ত ঘুম হিসেবে ধরা হয়। অতিরিক্ত ঘুমানো কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি রোগ হিসেবে দেখা হয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়।
  1. ঘুমাবার আগে ঘরে পরিবেশ ঠিক করুন। লাইট বন্ধ করে দিন। শান্ত সুন্দর পরিবেশ হলে তবে ঘুম আসবে। এবং আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ার পরে আপনা আপনি ঘুম ভেঙে যাবে। যদি অনেক ভিড়ের মধ্যে ঘুমাতে চান তাহলে ঘুম তো আসবে না তার ওপরে ঘুম ঘুম ভাব হবে।
  2. অতিরিক্ত টেনশন একদম নয়, সবকিছু ভুলে রাতে শরীরকে রেস্ট দিন এবং মনকে রিলাক্সে রাখতে মেডিটেশন করুন। রাত্রে যদি সঠিকভাবে আপনার ঘুম হয় তাহলে আর দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম হবে না। এতে আপনার শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
  3. নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। ঘুম পেলে অফিসে বা বাসার কারো সঙ্গে গল্প করুন, ঘুম পেলে চুপ করে বসে থাকলে কিন্তু আরো ঘুম পাবে।
  4. গান শুনুন, বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে গান মন ও মস্তিষ্কের সক্রিয় করে তোলে। তাই যখনই ঘুম ঘুম ভাব লাগবে, নিজে সবচেয়ে প্রিয় গানগুলো শুনুন ঘুম কেটে যাবে।
  5. অনেক সময় শরীর দুর্বলের কারণে অতিরিক্ত ঘুম হয়, এই কারণে এড়াতে আমাদের ভালো ফলমূল ও ভালো খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির ঔষধ

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে। সুস্থ ও সবল থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি দিনে ৯ ঘন্টা ঘুমায় তাহলে সেটি স্বাভাবিক হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু এর পরিমাণ যখন বৃদ্ধি পায় তখন সেটিকে রোগ হিসেবে গণনা করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞান ধারণা অনুসারে। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে আমাদের শরীরে নানা প্রকার সমস্যা ও অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে।
চলুন তাহলে এবার জেনে নিই অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় ও অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির ঔষধের নাম। নাম অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির ওষুধ- 'ক্যাফিন'। এতে মস্তিষ্কের ঘুম কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। অবশ্যই এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণের মাধ্যমেও কিন্তু আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুম আমাদের কম হয়।

অতিরিক্ত ঘুমালে কি হয়

এতক্ষণ আমরা জানলাম অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যায় অতিরিক্ত ঘুমালে কি হয়। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুব জরুরী একটি বিষয়। ঘুমের সময় শরীর পরের দিনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করে নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা দিনে ঘুমাতে পারবে। তবে এর চেয়ে বেশি ঘুমালে হিতে বিপরীত হতে পারে। আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। তার সাথে আমাদের এটাও জানা জরুরি যে অতিরিক্ত ঘুমালে কি হয়। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা চলুন দেখে নেয়া যাক সে সমস্যা গুলো।
  1. ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে- দীর্ঘ সময় ঘুমানোর ফলে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। কয়েক বছর আগে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টিরও বেশি এই নিয়ে গবেষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায় ৯ ঘন্টার বেশি কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঘুমালে তার শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  2. হৃদরোগ দেখা দেয়- আমেরিকার জার্নাল অফ কার্ডিওলজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দীর্ঘ ঘুম বাম ভেনটিকুলারের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
  3. ডিপ্রেশন বাড়ে- দীর্ঘ সময়ের ঘুম মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি হতাশার দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
  4. পিঠে ব্যাথা হতে পারে- যারা চেয়ারে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করেন তারা যদি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমান তাহলে তাদের পিঠ, ঘাড়, কাঁধ ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
  5. চর্বি বেড়ে যায়- অতিরিক্ত ঘুমালে শরীরে মেদ জমে, ফলে শরীর মোটা হয়ে যায় আবার শরীর মোটা হলে ঘুম আরো বেশি ধরে।

হাইপারসোমনিয়া থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে সাধারণত হাইপারসোমনিয়া হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘুম সেরোটনীনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে নিউরোট্রান্সমিটার কেউ বাধা দেয় সেজন্য অনেকে সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যাথার অভিযোগ করেন। এতক্ষণ আমরা জানলাম অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। এবার আলোচনা করব হাইপারসমনিয়া থেকে মুক্তির উপায়।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং সচেতনা-বর্ধক এজেন্টের মতো ঔষধ কগ্নিটিভ বিহেভরিয়াল থেরাপি সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয় যে রোগীর হাইপারসনোমিয়া রয়েছে। হাইপারসুমোনিয়া থেকে মুক্তির উপায় হল-
  1. ঘুমানোর ধরনের প্রভাব ফেলে এমন কারণ এড়িয়ে চলা।
  2. রাতভর না জেগে সময় মতো ঘুমোতে যাওয়া।
  3. সামাজিক কাজকর্মে অংশ নেওয়া।
  4. ক্যাফিন জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলা।
  5. মূলত অতিরিক্ত ঘুমের কারণে এই রূপটি হয়ে থাকে তাই অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করা।

হাইপারসোনিয়ার চিকিৎসা

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অনেক দরকারি তবে সেই ঘুমটা হওয়া দরকার সীমার মধ্যে। অতিরিক্ত ঘুমের কারনে আমাদের হাইপারসোমোনিয়া হতে পারে। তাই আমাদের অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আপনার যদি হাইপারসিমোনিয়া ধরা পড়ে, তাহলে ডাক্তার এটির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ওষুধ লিখে দিতে পারেন, যেমন- অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, সেই সাথে বেশ কিছু নতুন ওষুধ-প্রভিজল, জাইরেম এবং জাইওয়াব।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির দোয়া

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে আমরা অনেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অতিরিক্ত ঘুম কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে থাকি। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য ঘুমকে নেয়ামত হিসেবে বানিয়েছেন। আর তিনি অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া ও নাযিল করেছেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির দোয়া।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির দোয়া- 'আল্লাহুম্মাশফিনী মিনান নাওমী বিয়াসির, ওয়ারযুকনি সাহারন ফী ত্ব~য়াতিক'। 

অর্থ: ইয়া আল্লাহ, সামান্য ঘুম দাঁড়ায় আমার প্রয়োজন পূরণ করুন এবং আপনার আদেশ পালনে রাত্রি জাগরণের তৌফিক দিন।

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। তখন আমরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়াই অতিরিক্ত ঘুম কমানোর জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায়।
  1. পানি খাওয়া- ঘুম থেকে উঠে এক থেকে দু গ্লাস পানি খান। পানি শরীরকে সচেজ করে তোলে। মস্তিষ্কও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। ঘুম ঘুম ভাব অনেকটাই কেটে যায়, এছাড়াও বেশি ঘুম পেলে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। ঘুম থেকে উঠে চোখে চোখে ঠান্ডা। তাতে শরীর অনেক ফ্রেশ লাগবে, ঘুম ঘুম লাগবে না।
  2. চা, কফি খাওয়া- চা অথবা কফি তো এমনিতেই সকালে খান। কিন্তু ঘুম পেলে একটু বেশি খান। মানে সকালের পর দুপুরের দিকে আরেকবার খান এতে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা কমবে। তবে সন্ধ্যা বেলা খাবেন না তাহলে আবার রাতে সহজে ঘুম আসবে না আর রাতে ঘুম না আসলে সারাদিন ঘুম ঘুম করবে।
  3. হালকা খাবার খাওয়া- রাতে হালকা খাওয়ার ফলে ঘুম ভালো হয় আর রাতে ঘুম ভালো হলে সারাদিন আর ঘুম ঘুম করে না। তাই রাতে ভারী কিছু না খেয়ে হালকা খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  4. রাতে ভালো করে ঘুম দরকার- রাতের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম দরকার, তাই রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন যাতে এই সময়টা ঘুমটা হয়। মনে রাখবেন সারাদিন কাজের পর রাতে শরীরে দরকার উপযুক্ত রেস্ট। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান রাতে সঠিকভাবে ঘুম হলে সারাদিন ভালো যাবে নয়তো সারাদিন ঘুম ঘুম করবে।
  5. ফোন বন্ধ রাখুন- রাতে ফোন নিয়ে শোয়াটাও আপনার সারাদিন ঘুম পাওয়ার একটা অন্যতম কারণ। কারণ রাতে ফোন নিয়েই অনেকটা সময় কেটে যায়। তার জন্য রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না, সেজন্য সকালে ঘুম ভাঙতেই চায় না আর সারাদিন ঘুম পায়

 অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমালে তা অতিরিক্ত ঘুম হিসেবে ধরা হয়। অতিরিক্ত ঘুমানো কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি রোগ হিসেবে দেখা হয় এবং এর একটি নামও আছে। নামটি হল "হাইপারসোমোনিয়া"। দিনে ঘুমের আদর্শ সময় পার করার পরেও যারা আরও ঘুমাতে চায় তাদের এই রোগটি আছে বলে ধরা হয়। অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং সচেতনা-বর্ধক এজেন্টের মতো ঔষধ কগ্নিটিভ বিহেভরিয়াল থেরাপি সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয় যে রোগীর হাইপারসনোমিয়া রয়েছে। 
আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনার নিদ্রা জনিত সমস্যা হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় বুঝতে পারবেন। এমন সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url