গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় এই সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় এ সম্পর্কে জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো জানার মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর বিলম্ব না করে গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয়

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় যা গর্ভধারণ নামে পরিচিত, হল এমন একটি সময় যখন কোন নারীর শরীরে মধ্যে এক বা একাধিক সন্তান বৃদ্ধি লাভ করে থাকে। আমরা আজকে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় এই সম্পর্কে। একাধিক গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একের বেশি সন্তান থাকে যেমন জমজ সন্তান। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি মাত্র সন্তান হয়।

এই সময় নারীদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। কারণ একটি মাত্র ভুলের কারণে হতে পারে বড় ধরনের সমস্যা। যার কারণে এই সময় অনেক কিছু এড়িয়ে চলতে হয় এবং অনেক সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হয়। এ সময় বমি বমি ভাব হয় অথবা বমি হয়, ঘনঘন খুদা লাগে ইত্যাদি। আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় গর্ভাবস্থার সময়।

গর্ভবতী মহিলার পানি ভাঙ্গে কেন

"পানি ভাঙ্গা" বা "ওয়াটার ব্রেক" প্রেগনেন্সিতে খুব সাধারণ একটি ঘটনা। নির্দিষ্ট সময়ে এই ওয়াটারব্রেক হওয়া যেমন কাম্য, অন্য সময় হয়ে গেলে তা ভয়ের কারণই হতে পারে। তাই প্রয়োজন যথাযথ তত্ত্বাবধান ও চিকিৎসার। সোজা ভাষায় বললে, গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন বাচ্চা পানি ভর্তি একটা থলের মধ্যে বড় হয়।

এই ব্যাগের পোশাকি নাম অ্যামনিওটিক সেক। আর এই ফ্লয়েড কে বলে অ্যামনিওটিক ফ্লয়েড। প্রসবের সময় হয়ে এলে এই সাক ভেঙে যায় এবং এর ভেতরের সমস্ত তরল হবু মায়ের ভ্যাজাইনা দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে। একেই বলে পানি ভাঙ্গা।
পানি ভাঙ্গা হওয়ার পরেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। অবশ্য কারো কারো ক্ষেত্রে এ সময়ে কম বেশি হতে পারে। যদি নির্দিষ্ট সময়ে পানি ভাঙ্গা হয়ে গেছে, অথচ প্রসব বেদনা শুরু হচ্ছে না এরকম হয়; সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন প্রসব বেদনা উঠানোর জন্য। উক্ত বিষয়গুলোর কারণেই গর্ভবতী মহিলার পানি ভাঙ্গে।

পায়ে পানি আসার কারণ ও প্রতিকার

দুই পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি আসা একটি খুবই মারাত্মক রোগের লক্ষণ। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গের যেমন হৃদ তন্ত্র, লিভার, কিডনি ও খাদ্যনালির কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে বা গায়ে পানি আসে। যন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত এর কারণে পায়ে পানি আসে।

রক্তে আমিষের মাত্রা কমে গেলে, হজম না হলে ও খাদ্যনালী থেকে আমিষ বের হয়ে গেলে পায়ে পানি আসে। গর্ভাবস্থায় শেষ কয়েক মাসে পায়ে পানি আসে। সাধারণত ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ আত্মঃসত্ত্বা নারীর এ সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় আত্মঃসত্ত্ব শরীরের রক্ত এবং তরল উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। রক্ত তরল পদার্থের অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে গর্ভ অবস্থায় দেহের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় এবং পায়ে পানি দেখা যায়। তাই আমাদের গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে।

এইবার তাহলে জেনে নিই এর প্রতিকার সম্পর্কেঃ
  1. বামদিকে কাত করে শুবেন।
  2. শোয়ার সময় পায়ের নিচে একটা বালিশ রাখুন।
  3. স্বাভাবিক কাজকর্ম করুন, তবে খুব বেশিক্ষণ একই ভঙ্গিতে থাকবেন না বসে কাজ করতে হলো কিছুক্ষণ পরপর একটু উঠে দাঁড়ান, খানিকটা ঘোরাফেরা করুন একটানা একইভাবে বসে থাকবেন না।
  4. টাইট পোশাক করবেন না।
  5. নরম এবং সহনীয় ধরনের জুতা পরা ভালো।
  6. স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করেন।
  7. পানি খাবেন পরিমাণ মতো শরীরে বেশি পানি জমা হচ্ছে ভেবে পানি কম খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

পায়ে পানি আসার ঔষধ?

গর্ভাবস্থায় শরীরে পানি আসার ব্যাপারটা স্বাভাবিক। সাধারণত ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ অন্তঃসত্তার এ সমস্যা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক সারিরবৃত্তি ও কারণেও এমন হয়। গর্ভাবস্থায় হরমোন এবং শিশুর বৃদ্ধির কারণে রক্তনালীর ওপর ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে থাকে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমতে থাকে, গর্ভাবস্থায় শরীরের পানি বেশিরভাগ পায়ে জমে থাকে। 
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কমে গেলেও পায়ে পানি আসে। এই রোগীর গলগন্ড, শীত শীত লাগা, মোটা হয়ে যাওয়া, মাসিকের রক্ত বেশি হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য হয় ইত্যাদি লক্ষণ থাকে। এছাড়া ব্যথার ওষুধ যেমন ডাইক্লোফেনাক, আইবুপ্রফেন, ইটরিকক্সিব খেলে পায়ে পানি আসতে পারে। পানি আসা রোধ করার জন্য অবশ্যই আমাদের গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় এ বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পানি কমে গেলে করণীয়

একজন নারী গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর এগুলো সমস্যার মধ্যে হচ্ছে গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়া। অনেক সময় দেখা যায় গর্ভাবস্থায় পানি কমে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এর সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিকারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এটি দূর করতে পারি।

চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় পানি কমে গেলে করণীয়:
  1. সাধারণত গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়া রোধ করার কোন উপায় নেই, তবে নিয়মিত চেকআপে থাকলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মত চললে যে কোন রকম দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।
  2. গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়া বা পানি ভাঙার চিকিৎসা গর্ভাবস্থার পর্যায়ের উপর নির্ভর করে। যদি ৩৭ সপ্তাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর পানি ভাঙা শুরু করে তাহলে শিশু নিরাপত্তার খাতিরে অনেক সময় চিকিৎসক ডেলিভারি করিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন।
  3. ২৪ সপ্তাহের আগে পানি ভাঙ্গা শুরু হলে সেটি শিশুর জন্য খুব ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গ্লুকোজ মনিটারিং এ থাকতে হয়।
  4. ২৪ থেকে ৩৪ সপ্তাহের মধ্যে পানি ভেঙ্গে গেলে এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। স্টেরয়েড শিশুর ফুসফুস বিকাশে সাহায্য করে।
  5. ৩৪ সপ্তাহের পর পানি ভাঙ্গা শুরু হলে গর্ভাবস্থায় বিবেচনা করে যদি সম্ভব হয় মাকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে রেখে ৩৭ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করার চেষ্টা করা হয়। তারপর ডেলিভারি করা নিরাপদ কারণ ততদিন শিশুর পৃথিবীতে টিকে থাকার মত বিকাশ হয়ে যায়।
  6. বর্তমানে বাংলাদেশে জরুরি কারণে ২৮ সপ্তাহের পর ডেলিভারি করে শিশুকে বাঁচানো সম্ভব যদি তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে ক্লোজ মনিটরিং এ রেখে চিকিৎসা দেওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় পানি বেড়ে গেলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় কালীন শরীরের বেশি খেয়াল রাখতে হয়। তাই আমাদের গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। হঠাৎ শরীরে খুব বেশি পানি এলে পানি জমে জমে টকে শক্ত ভাব চলে আসতে পারে, পানি জমার স্থানে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কখনো কখনো এগুলো গর্ভকালীন জটিলতা লক্ষণও হতে পারে।
গর্ভাবস্থতা কালীন মেয়েদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়। পায়ে পানি জমা যেন কোন ভাবে তাদের জটিলতা লক্ষণ না হয় তার জন্য আমাদের গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  1. এই সময় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে পায়ে পানি আসে না। এটি বেশ সহায়ক। কলা হলো এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
  2. আপনার পা- কে যথেষ্ট বিশ্রাম দেওয়া জরুরী। যখন আপনি আপনার পায়ের উপর অত্যাধিক চাপ দেন, তখন এটি আরো বেশি ফুলে উঠবে। বিশ্রাম নেয়ার সময় আপনার পা কে কিছু সময়ের জন্য উঁচুতে উঠিয়ে রাখুন।
  3. আপনি আপনার গর্ব অবস্থায় সময়কালে আপনার পরিধানের সহজ কিছু পরিধান করতে পারেন। আরামদায়ক জুতা পরিধান করুন এবং এছাড়াও এর সমর্থনকারী স্টকিং এবং টাইটস করুন। ঘড়ালে চারপাশে খুব আর্সাট হয়ে থাকে এমন পোশাকগুলি এড়িয়ে চলুন। কখনো কখনো টাইট জুতো পরিস্থিতি আরো খারাপ করতে পারে।
  4. খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য একই অবস্থানে আপনার পা- কে রেখে দিলেও এডিমা হতে পারে। আপনার পা গুলিকে নড়ানো এবং মাঝে মাঝে সেগুলির অবস্থান পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি দেশকে বসে কাজ থাকে, তবে আপনার পায়ের অবস্থা হয়তো আরো খারাপ হয়ে উঠতে দেখবেন। যার ফলে এগুলো থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। এক লাগাতার না বসে মাঝেমধ্যে ওঠা-বসা করতে হবে এবং হাটাহাটি করতে হবে।
  5. আপনি গর্ভবতী থাকার সময় ক্যাফিন একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। আসলে যখন আপনার পায়ে পানি আসবে ভায়ের লক্ষণ দেখতে পাবেন তখন এটি পান করা বন্ধ করতে হবে। কারণ এটি ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পা কামড়ানোঃ শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় কখনো কখনো আপনার পা কামড়াতে বা খিল ধরতে পারে। এটি মূলত পায়ের হঠাৎ করে তীক্ষ্ণ ব্যথা হওয়ার একটি অনুভূতি। অনেকে এই সমসাকে পায়ের রোগে টান লাগা বলে থাকেন। গর্ব অবস্থায় পাক কামড়ানো মায়েদের একটি পরিচিত সমস্যা। এটি সাধারণত মায়ের অথবা গর্ভের শিশুর কোন গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না তবে পা কামড়ালে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কিছু সহজ উপদেশ মেনে চললে আপনি পা কামড়ানো সমস্যা থেকে অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কখন পা কামড়ায়?

বেশিরভাগ সময়ে গর্ভকালের পরের অর্ধেকে অর্থাৎ ২০ তম সপ্তাহের পর থেকে পা কামড়ানো বাখিল ধরার সমস্যা হয়। বিশেষ করে গর্ভকালীন শেষ তিন মাসে এই সমস্যা হওয়া বেশি কমন। অনেকের ক্ষেত্রে কেবল রাতে পাকামড়াতে দেখা যায় তবে দিন অথবা রাজ্যে কোন সময় পা কামড়াতে পারে।

পা কামড়ানোর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা

  1. পায়ের ব্যায়াম- গর্ভাবস্থা কালীন ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গর্ভাবস্থায় হালকা ব্যায়াম করলে মা ও শিশু দুজনার জন্যই উপকার। পা কামানোর সময় যদি হালকা ব্যায়াম করা যায় তাহলে পায়ের ব্যথা বা পায়ে টান লাগা বা পা কামড়ানোর দূর হয়।
  2. গরম পানি দিয়ে গোসল- কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে স্বস্তি পেতে পারেন। এছাড়া পায়ের পেছনে হাঁটুর ঠিক নিচের মাংস অংশ অংশের হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে গরম সেক দিতে পারেন।
  3. বরফের সেক- পায়ে আলতো ভাবে ঘষে ঘষে বরফ লাগাতে পারেন।
  4. ঔষধ- গর্ভাবস্থায় পা কামড়ানোর জন্য ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। তবে সেগুলোর কার্যকারিতা এবং মা ও শিশুর ওপর এসবের প্রভাব গবেষণা থেকে পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসলে করণীয় সম্পর্কে। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url