কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়
কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় এ বিষয়ে জানতে চান যারা আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। অনেকের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় এবং তারা কিডনি পরীক্ষা করতে চান কিডনি পরীক্ষা করার আগে আপনার জানা প্রয়োজন কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় তাহলে এটি আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিন কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়।
কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় আবার যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি পরীক্ষা করা প্রয়োজন এই সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি এই সকল বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়
- যে যে লক্ষণ দেখে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ
- কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়
- কিডনি পরীক্ষার খরচ কত
- নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়
- শেষ কথা
যে যে লক্ষণ দেখে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ
কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় তা আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন তার আগে আপনারা জেনে নিন যে যে লক্ষণ দেখে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ। কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো যদি আপনার ভেতর দেখতে পান তাহলে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু কি সেই লক্ষণ গুলো আপনি কি জানেন হয়তো জানেন না যদি না জানেন তাহলে জেনে নিন কোন লক্ষণ গুলো দেখা দিলে কিডনি পরীক্ষা করতে হবে বা করা উচিত।
- অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করা
- হাত পা ফুলে যাওয়া
- প্রসাবে পরিবর্তন
- প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া
- গরমে ঠান্ডা লাগা
- বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া
- শরীরে চুলকানি হওয়া
- অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা
অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করাঃ যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করছে বেশিরভাগ সময় তাহলে আপনার এটি হতে পারে কিডনির সমস্যা তাই এরকম লক্ষণ যদি কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করেন তাহলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
হাত পা ফুলে যাওয়াঃ যদি হঠাৎ করে আপনার হাত-পা আগের থেকে অনেক ফুলে যায় এবং মনে হয় যে হাত পায়ের মধ্যে পানি জমে গেছে তাহলে এটি কিডনির কোন সমস্যার কারণে হতে পারে। এরকম লক্ষণ দেখা দিলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রসাবে পরিবর্তনঃ প্রসাবের পরিবর্তন যদি দেখেন প্রসাবের রং অতিরিক্ত হলুদ অথবা লালচে বর্ণের হয়ে গেছে তাহলে এটি হতে পারে কিডনির কোন সমস্যার কারণে তাই এমনটি যদি হয় আপনার তাহলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়াঃ প্রসাবের সাথে রক্ত যদি যাই অথবা প্রসাব করার পরে যদি দেখেন আপনার প্রসাবের রাস্তা দিয়ে কয়েক ফোঁটা করে রক্ত বের হচ্ছে তাহলে এটি হতে পারে কিডনির কোন সমস্যা। আর এমনটি হলে অবহেলা করা যাবে না দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ১০ টি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
গরমে ঠান্ডা লাগাঃ শীতকালে আমাদের সবারই ঠান্ডা লাগে কিন্তু যদি আপনার গরমের সময় ও ঠান্ডা অনুভব হয় বা ঠান্ডা লাগে তাহলে এটি হতে পারে কিডনির কোন সমস্যার কারণে। আর এমনটি যদি কিছুদিন ধরে হয়ে থাকে তাহলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়াঃ যে যে লক্ষণ দেখে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ তার ভেতরে আরেকটি হলো বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া যদি দেখেন আপনার বেশিরভাগ সময় বমি বমি ভাব লাগছে অথবা বমি হচ্ছে তাহলে এটি হতে পারে কিডনির কোন সমস্যার কারণে। এমনটি হলে কিডনির পরীক্ষা করা উচিত।
শরীরে চুলকানি হওয়াঃ আপনার যদি কিডনিতে কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে শরীরে চুলকানি সৃষ্টি হবে কোন কারণ ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকাতে থাকবে। আর এমনটি যদি আপনি কয়েকদিন ধরে দেখেন যে হচ্ছে তাহলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগাঃ আপনি কোন কাজ করছেন না তারপরেও অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগছে এমনটি যদি আপনার ভেতর লক্ষ্য করেন তাহলে এটি কিডনির কোন সমস্যার কারণে হতে পারে তাই দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়
আপনার যদি কিডনি রোগ হয়ে থাকে তাহলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় আপনি যদি না জানেন তাহলে এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারবেন কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়। মাত্র দুটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে কিনা কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় বা কিডনি রোগের দুটি পরীক্ষা হলো।
- রক্ত পরীক্ষা
- মূত্র পরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষা - কিডনি রোগ বুঝার জন্য প্রথম একটি পরীক্ষা হল রক্ত পরীক্ষা আপনি যদি রক্ত পরীক্ষা করে দেখেন রক্তের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা এর থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনিতে কোনরকম সমস্যা হয়েছে কিনা। আর আপনি একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আপনার রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে বলে দিতে পারবেন আপনার কিডনিতে কোন রকম সমস্যা বা রোগ হয়েছে কিনা।
আরো পড়ুনঃ বেস্ট ছোট করার দরকার কি প্রাকৃতিক উপায় - বেস্ট ছোট করার ঘরোয়া উপায়
মূত্র পরীক্ষা - এমনিতেই প্রসাবের কিছু পরিবর্তন দেখা দিলে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা যেমন যদি আপনার প্রসাবের রং লালচে রঙের বা গাঢ় হলুদ রঙের হয় তাহলে নিজেই বুঝতে পারবে কোন সমস্যার কারণে। আর আপনি একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে মূত্র পরীক্ষা বা ইউরিন টেস্ট করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনিতে কোনরকম রোগ হয়েছে কিনা।
আপাতত আপনি এই দুটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন কিডনিতে কোন রোগ হয়েছে কিনা এছাড়াও আরো কিছু পরীক্ষা রয়েছে যেগুলো আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যান তাহলে তারা বলে দিবে। তাই কিডনি রোগের কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
কিডনি পরীক্ষার খরচ কত
কিডনি পরীক্ষার খরচ কত হতে পারে কিডনি পরীক্ষার খরচ বিভিন্ন হাসপাতালে বা বিভিন্ন ক্লিনিকে বিভিন্ন রকম হতে পারে তাই একেবারে সঠিকভাবে বলা যাবে না যে কিডনি পরীক্ষার খরচ কত হতে পারে। তারপরেও কিডনি পরীক্ষা করার জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মত লাগবে।
বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন রকম টাকা নিয়ে থাকে তাই আপনি কিডনি পরীক্ষা করার আগে কয়েকটি হাসপাতালের কিডনি পরীক্ষার খরচ সম্পর্কে জেনে নিবেন। এবং তারপরে যে হাসপাতালে কিডনি পরীক্ষার খরচ কম এবং ভালোভাবে কিডনি নিয়ে পরীক্ষা করা হয় সেখানে গিয়ে কিডনি পরীক্ষা করাবেন। অথবা আপনার নিকটস্থ কোন ডাক্তারের দোকানে গিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন তিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়
যদি আপনার কিডনিতে কেবল একটু একটু সমস্যা দেখা দেয় আর আপনি যদি তখনই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনার কিডনি একেবারে পুরোপুরি ভালো করতে পারবেন। কিন্তু আপনার কিডনি যদি একেবারে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় আর তার আগে যদি আপনি কোন রকম চিকিৎসার গ্রহণ না করেন তাহলে পরবর্তীতে আর সেই কিডনি কোনোভাবেই ভালো করতে পারবেন না।
কিডনি ভালো করার জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, যেগুলো খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকে সেগুলো খাবার নিয়মিত খেতে হবে। নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর কিডনি পরীক্ষা করার মাধ্যমে সেটার সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাসিকের ব্যথা কমানোর ৫ টি উপায় - মাসিকের ব্যথা কমানোর ০৪ টি ওষুধ
এগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনার কিডনি ভালো করতে পারবেন। তবে সেটা যদি কিডনি নষ্ট হওয়ার শুরুর দিকে হয়। কিডনি নষ্ট হওয়ার শেষ সময় গিয়ে আর কোন ভাবেই ভালো করতে পারবেন না তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেওয়া শুরু করুন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সকল রোগ থেকে মুক্ত রাখুন এই কামনাই করি।
কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয়ঃ শেষ কথা
যে যে লক্ষণ দেখে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা উচিৎ কিডনি রোগের কি কি পরিক্ষা করতে হয় কিডনি পরীক্ষার খরচ কত নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায় এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
তারপরও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url