বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ - বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ খুব ভালো কাজ করে। আমরা অনেকেই বাতের ব্যথায় ভুগে থাকি। অনেক চিকিৎসা এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও বাতের ব্যথা কমানো যায় না। যদি বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ খান তাহলে খুব সহজেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আপনাদের বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আপনি যদি বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান এবং এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ - বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
- বাতের ব্যথার লক্ষণ
- বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
- বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ
- বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি
- শেষ কথা
বাতের ব্যথার লক্ষণ
শরীরের একটাই যন্ত্রণাদায়ক রোগ হলো বাতের ব্যথা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম ভাবে বাতের ব্যথা হতে পারে। অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমার কারণে বাতের ব্যথা হয়ে থাকে। শতকরা 20 ভাগের বেশি রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় এটি। বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ জানার আগে আমাদেরকে বাতের ব্যথার লক্ষণ জেনে এ রোগ নির্ণয় করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের খিচুনি হওয়ার ৫ টি লক্ষণ - খিচুনি হওয়ার নয়টি লক্ষণ
বাতের ব্যথার লক্ষণ উল্লেখ করা হলোঃ
১। অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করা
২। অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া।
৩। অনেক ক্ষেত্রে অস্থি সন্ধি ফুলে যাওয়া।
৪। বাতের ব্যথা হলে পায়ের আঙ্গুল নাড়াতে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হওয়া।
৫। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একটু স্পর্শ করলেই অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা লাগে।
৬। ব্যথা কমে যাওয়ার পরেও বাপের ব্যথায় আক্রান্ত স্থান ফুলে থাকা
৭। পায়ের গোড়ালি এবং জোড়ায় অত্যাধিক ব্যথা অনুভূত হওয়া।
৮। নখে, হাতের কব্জি এবং কুনুই সহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভব হওয়া।
বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
বাতের ব্যথা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা করে এই ব্যথা কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেয়েও বাতের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার আগে আমাদের প্রথমেই বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে।
১। বাতের ব্যথা হলে প্রথমে আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে হবে। বাতের ব্যথা নিয়ে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না। এর ফলে ব্যথা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই রোগীকে বিশ্রামে রাখতে হবে।
২। অতিরিক্ত ভারী কোন জিনিস চাড়া যাবে না। অতিরিক্ত ভারী কোন জিনিস ছাড়লে বাতের ব্যথা আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। সকল ধরনের ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। বাতের ব্যথায় আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন সরিষার তেল গরম করে অথবা গরম পুরাতন ঘি মালিশ করতে হবে। এরফলে বাতের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
৪। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি আমাদের অনেক রোগের ঔষধ। ঠিক তেমন বাতের ব্যথা কমাতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৫। বাতের ব্যথা কমানোর জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা যাবে না। নিয়মিত অল্প পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে।
৬। খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণে সুষম খাবার রাখতে হবে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৭। শরীরের ওজন কমাতে হবে অনেক সময় শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে পায়ের উপরে চাপ পড়ে যার ফলে বাতের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ - বাতের ব্যথার গাছ
বর্তমানে উন্নত মানের চিকিৎসা আবিষ্কার হওয়ার আগে বাতের ব্যথার গাছ খেয়ে বাতের ব্যথা কমানো হত। বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বাতের ব্যথার গাছ সম্পর্কে আমরা এখন জানবো।
আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯ টি উপায়
১। যদি বাতের ব্যথার সমস্যা হয় তাহলে অত্যাধিক পরিমাণে টক জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের লবণ পরিমাপ মতো রাখতে হবে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না।
২। রান্নায় দেশি ঘি ব্যবহার করতে হবে। অলিভ অয়েল ও রান্না করতে পারেন। বাতের ব্যথা দূর করতে অলিভ অয়েল এবং ঘি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৩। বাতের ব্যথা কমাতে মেথির বীজ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আপনি এটি খাওয়ার পরে খেতে পারেন। এর ভালো প্রভাবের জন্য এক চামচ মেথি গুঁড়ো পানির সঙ্গে ভালোভাবে নিয়ে ভিজিয়ে রেখে এর পরে সকালে খেতে পারেন।
৪। বাতের ব্যথা কমাতে আদা চা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি আদা চা অন্ত্র থেকে টক্সিন দূর করতে কার্যকরী। আমাদের শরীরের যেকোনো ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫। শরীরের যে জায়গায় বাতের ব্যথা অনুভত হয় সেখানে আকন্দের পাতা গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। বিশেষ করে বাতের ব্যথা কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বাতের ব্যথার মহা ঔষধ হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হয়।
বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ - বাতের ব্যথার ওষুধ - বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি
বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে এটিও বাতের ব্যথা কমাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যদিও বর্তমানে চিকিৎসা শাস্ত্র অনেক উন্নত হয়েছে তবে কিছু মানুষ রয়েছে যারা হোমিও ওষুধের প্রতি আস্থা রাখে। সাধারণত তারা বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে জানতে চাই। এছাড়া আমরা বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি? সে সম্পর্কে জানব।
- কাঁধের , হাতের , কব্জির , গোড়ালির বাত কমাতে -- Abrotanum 200
- তরুন বাত, আঙ্গুল আক্রান্ত, সাথে পেটের গণ্ডগোল -- Antim Crud 200
- বাতে আক্রান্ত স্থান টেনে ধরার মতো যন্ত্রণা -- Ammon Mur 200
- দুই হাঁটুর গাঁটে ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গে, গাঁটের ভেতর শব্দ কমাতে -- Angustura 200
বাতের ব্যথার ওষুধের মধ্যে আছে ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইন্ডোমিথাসিনের মতো এনএসএআইডি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
প্রেডনিসোলোনের মতো স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও মুখে খাওয়া যেতে পারে অথবা আক্রান্ত স্থানে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন এবং প্রোবেনেসিড আলাদাভাবে কিংবা এক সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। আশা করি বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি? তা জানতে পেরেছেন।
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ - বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধঃ শেষ কথা
বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি? বাতের ব্যথার ওষুধ, বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ, বাতের ব্যথার গাছ, বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা, বাতের ব্যথার লক্ষণ, বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বাতের ব্যথা সমস্যা থাকলে উঠতে বিষয়গুলো জানা খুবই প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ দুষ্টু মিষ্টি ধাঁধা উত্তর সহ – কঠিন ধাঁধা
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। ১৬৮৩০
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url