শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন

শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। শুকনো কাশির সমস্যার কারণে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে খোঁজ করে থাকেন। চলুন তাহলে শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
শুকনো কাশি যে কোন সময়ে যেকোনো কারণে হয়ে থাকে। অনেকে আছেন  ঘুমানোর সময় শুকনো কাশি হয়ে থাকে। চলুন তাহলে শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

ভূমিকা

কাশি হল শ্বাস প্রশ্বাসের বড় গমন পথ গুলির মাধ্যমে হঠাৎ বাতাসকে বের করা যা সেখানকার তরল, উত্তেজক পদার্থ, বিভিন্ন কণা এবং জীবানুগুলি পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। প্রতিরক্ষামূলক অভিব্যক্তি হিসেবে তিনটি পর্যায়ে অনুসরণ করে কাশির প্রতিফলনের পূর্ণবৃত্তি হতে পারি। ঘন ঘন কাশি সাধারণত কোন রোগের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

অনেক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বাহকে কাশি সৃষ্টি করে রোগটি নতুন বাহুকে ছড়িয়ে দেয় এবং সহায়তা পরে এবং তার মাধ্যমে তারা উপকৃত হয়। আমরা প্রায় সময় দেখি শুতে যাওয়ার সময় কাশি বৃদ্ধি পাই। আমাদের ভেতর অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকি শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে জানার জন্য। চলুন তাহলে শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন

স্বাভাবিক অবস্থার থেকে শুয়ে থাকলে আমাদের শুকনো কাশি বেশি হয়ে থাকে এর কারণ হলো বারবার শ্বাসাঘাত। স্তন্যপায় টিসু গুলির উত্তেজক প্রকৃতির কারণে ক্যাপসাইসিন কাশির প্রান্তিকতা নির্ধারণ করতে এবং কাশি দমনকারীদের ক্লিনিক্যাল গবেষণায় উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই আমরা শোয়ার সময় বুকে যন্ত্রণাদায়ক কাশির সমস্যায় পড়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তাকে পুরনো কাশি বলে। সাধারণত হাঁপানি এবং বিভিন্ন রকমের ওষুধ সেবনের ফলে 81 দেখা দিতে পারে। পুরনো কাশির সঙ্গে রক্ত বের হয়ে আসতে পারে এবং দীর্ঘদিন শুকনো কাশি থাকলে সেটি যক্ষা বা ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
কফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা হলে সাধারণত একটা না দীর্ঘদিন কাশি থাকে এবং বুকে কোন ঘরঘর শব্দ পাওয়া যায় না। সাইনাসের প্রদাহের কারণে কাশি হলে সঙ্গে সাধারণত মাথা ব্যথা থাকে। এই ব্যথা ঘাড় বা শরীর সামনের দিকে ঝোকালে বেশি হয় এবং রাতের বেলায় তীব্র রূপ নেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে বা শুয়ে থাকলে বা বেশি পরিমাণে খাবার খেলে যদি কাশি হয় সেটার কারণ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা। শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসের আক্রমণ পরবর্তী জটিলতার কাশিতে সাধারণত একটা সংক্রমনের ইতিহাস থাকে। এতে কাশি মৃদু হয় যা বিরতি দিয়ে আসে এমনকি তিন বা চার মাস থাকতে পারে। এছাড়া অ্যাটিপিলাক নিউমোনিয়ার কারণে আরো দীর্ঘদিন ধরে কাশি লেগে থাকতে পারে এবং তার শোয়ার সময় বৃদ্ধি পেতে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে।

শুকনো কাশি কেন হয় এবং এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন

কাশি হল শরীরের একটি প্রতিরক্ষা মুলক প্রক্রিয়া যদি কখনো ধুলাবালি, ধোয়া বা অন্য কিছু আমাদের শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে সঙ্গে সঙ্গে কাশি শুরু হয়। কাশি এর মাধ্যমে ধুলাবালি বা অন্য কোন বস্তুর শাসনালী থেকে বের হয়ে আসে। এটাই হল প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা। কাশি এভাবে শ্বাসনালী কে পরিষ্কার রাখে। আমরা খেতে বসলে অনেক সময় খাদ্য কোনা শ্বাসনালীতে চলে যায় যদি কাশি নামক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে প্রতিনিয়ত শ্বাসনালী সংক্রমণ হতো। কাশির প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় যেমন প্রথমে শাঁস ভেতরে নেয় তারপর স্বড়যন্ত্র বন্ধ অবস্থায় নিঃশেষ বের করার প্রচেষ্টা এবং সবশেষে সামান্য খোলা স্বরযন্ত্রের মধ্যে থেকে হঠাৎ জোরে শব্দ করে নিঃশ্বাস ত্যাগ করা। কাশির সমস্যায় অনেকেই বুঝে থাকেন এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য। এতক্ষণ আমরা জানলাম শুকনো কাশি কেন হয় এবার জানবো এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো।
শুকনো কাশি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন-
  1. ধূমপান ত্যাগ করা- ধূমপান সিওপিডি ক্রনিক ছাড়াও সৃষ্টি করতে পারে যেটিকে ধূমপান জনিত কাশি বলে। ধূমপানজনিত কাশি সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েকটা কাশি হয় যা ধূমপানের পর কাশি হয়। ধূমপান ত্যাগ করলে ধূমপান জনিত কাশি চলে যাব।
  2. অ্যালার্জি- যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জনিত কাশি হয়ে থাকে যার ফলে শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়। অ্যালার্জি এমন খাবার খাওয়া যাবেনা তাহলে অ্যালার্জি জনিত কাশি ভালো হবে।
  3. ধুলাবালি এড়িয়ে চলা- ধুলাবালি ও ধোঁয়া কাশি সৃষ্টি করতে পারে। যাদের ডাস্ট- আ্যলার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হতে পারে। যাদের এমন সমস্যা আছে তাদের ধুলাবালি থেকে দূরে থাকাই ভালো।
  4. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন গ্রহণ করা- ঘরোয়া উপায়ে যদি কাশি ভালো না হয়। তাহলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন গ্রহণ করতে হবে।

শুকনো কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বিভিন্ন সময় শুকনো কাশির জন্য সারারাত ঘুমাতে পারেন না অনেকে। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন। শুকনো কাশির সঙ্গে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে এর প্রভাব পরে শরীর ও কাজে। সারাক্ষণ কাশির ফলে গলা ব্যথা হয়ে যায় শুকনো কাশি হলে তো আর কথাই নেই চূড়ান্ত কষ্ট পেতে হয় রোগীকে। অনেক সময় শুকনো কাশি অল্প দিনের হলে ঘরোয়া উপায়ে ওটা ভালো হয়ে যায় চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও। আজকে আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কাশি ভালো করা যায়।
শুকনো কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়-
  1. মধু- মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন অথবা লিখার চায় মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
  2. আদা- আদাতেও যে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি ও জীবাণুররোধী উপাদান আছে তা কফদ দূর করতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করুন বার লিকার চায়ে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
  3. তুলসী- তুলসী পাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
  4. মসলা চা- পানিতে লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি গরম মসলা মিশিয়ে জাল দিয়ে সেই হারবাল টি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে আর কত দূর হবে।
  5. গরম পানি- ১ গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ যোগ করে এবং সকাল-সন্ধ্যায় শোষণ করলে এটি শুকনো কাশি দূর করে।
  6. এলাচ- প্রত্যেক বাড়ির রান্নাঘরে থাকে ছোট এলাচ। মশলা হিসেবে নয় শুকনো কাশি থেকেও মুক্তি দিতে পারে ছোট এলাচ। ব্যথা এবং শুকনো কাশি হলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে এলাচ কে কাজে লাগান। এক কাপ পানি নিন। গ্যাসে বসিয়ে তাতে মধু এবং বেশ কয়েকটি ছোট এলাচ দিন। ফুটে গেলে এলাচ থেকে ওই জল পান করুন।

উপসংহার

রাতে কাশির মাত্রা বৃদ্ধির এক নাম্বার কারণ হলো মাধ্যাকর্ষ। যখন আমরা শুয়ে থাকি তখন গলায় সক্রিয়ভাবে কফ জমতে থাকে। এই সমস্যা এন আর উপায় হচ্ছে শরীরের উপর অংশ একটু উঁচুতে তুলে ঘুমান। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলায় প্রতিক্রিয়া তৈরি করে ফলে রাতে কাশির প্রকর বেড়ে যায়। এ সময় কাশি তীব্রতা রোধে ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরের বাতাস আদ্র করবে এবং আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সহজ হবে।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন শুয়ে থাকলে শুকনো কাশি হয় কেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আতিকের কি পরে যদি আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেল কি আপনার আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url